বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরায়’ মহেশখালী লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সর্বাধিক বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে মহেশখালী দ্বীপে। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে ও চলমান গাড়ি বিকল হয়ে সড়ক বন্ধ হয়ে আছে।
ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, সোনাদিয়া ও তাজিয়াকাটা এলাকা জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফেও আঘাত হেনেছে। এতে সেখানে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরা প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দিকে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মোরার প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে সমুদ্র।
মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের উপকূলে আঘাত হানে। এতে সেখানে কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং কয়েকশ মাছ ধরার ট্রলার ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভাঙ্গা বেড়ি বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকছে বলেও জানা গেছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।