করমচা ফলে অনেক পুষ্টি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক করমচা, টক জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ফল। ১৫৫ বর্ণের প্রায়  এক হাজার গোত্রের করমচা গাছ দেখা যায়। করমচা গাছ বেশ ঝোপতলা ধরনের শক্ত জাতের  কাঁটাওয়ালা গুল্ম। বড় সাদা ও ফিকে গোলাপি রঙের সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত করমচা ফুল দেখতে কিছুটা কুন্ধ ফুলের মতো। এর ফলের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ, পাকায় লাল হয়।

ফেব্রুয়ারি  মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধরে এপ্রিল-মে মাসে। বর্ষায় ফল পাকে। করমচা চাষে জমি উঁচু হলেই ভালো, তবে নিচু জমিতেও চাষ করা চলে যদি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকে। করমচা খুব শক্ত ধরনের গাছ এবং দেহে আঠালো রস থাকায় রোগ ও পোকায় সহজে আক্রমণ করতে পারে না।

করমচার উপকারিতা

১। করমচায় চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না।
২। ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়।

৩। করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
৪। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে।
৫। যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।
৬। মৌসুমি সর্দি-জ্বর, কাশিতে করমচা খান বেশি করে।
৭। করমচা কখনো কৃমিনাশক হিসেবে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
৮। এ ছাড়া পেটের নানা অসুখের দাওয়াই করমচা।
৯। শরীরের ক্লান্তি দূর করে করমচা শরীরকে চাঙা রাখে।

১০। বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
১১।  করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
১২। এটি ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
১৩। এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়।

১৪। করমচা গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ে উপকারী ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম।

১৫। করমচা ওজন কমাতে সাহায্য করে ।

১৬। করমচার কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১৭। করমচার পটাশিয়াম শরীরের দূষণ বহিষ্কারকরণে সহায়তা করে।

১৮।  ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব উপকারী।

১৯। করমচা স্কাভি, দাঁত ও মাঢ়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

২০। করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts