বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো অগ্রসর হয়ে উপকূলীয় ভোলা জেলার আশপাশে অবস্থান করছে। এটি আরো অগ্রসর হয়ে স্থলভাগের দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া কার্যালয়। নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ঝরছে।
সোমবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে ভোগান্তির শিকারও হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ। অফিসে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। কাজ করতে হচ্ছে বৃষ্টি উপেক্ষা করে। এমনকি ঈদের বাড়ির ফেরার অগ্রিম বাস ও ট্রেনের টিকেট কিনতে যেতে হয়েছে বৃষ্টিতে ভিজে। তা ছাড়া রাজধানীর কিছু কিছু এলাকার সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সেসব এলাকায় মানুষেরও দুর্ভোগের শেষ নেই।
নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কতা হিসেবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপটি আরো অগ্রসর হয়ে ভোলা ও তদসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে স্থলভাগের দিকে যেতে পারে।’
‘নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। বায়ুচাপের তারতম্যের পার্থক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস বয়ে যেতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।