বাংলাদেশ নিয়ে ভয়ে আছেন কোহলি!

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক   বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ চড়চড়িয়ে চড়া। ব্যাট-বলের লড়াইয়ের পাশাপাশি চলে স্নায়ুর যুদ্ধও।কেউ কাউকে জায়গা ছাড়ে না এক ইঞ্চি। ১৫ জুন বার্মিংহামের এজবাস্টনে আরো একবার মুখোমুখি দুই দল। এবারের উপলক্ষ আরো বড়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের কথা ভেবে এখন থেকেই উত্তেজনায় ফুটছেন দুই দলের সমর্থকরা।

গত পরশু দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭২ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে হারানোর পর অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছে ভারত। কেননা নেট রান রেটে কোহলিরা এতটা এগিয়ে যে তাদের টপকে গ্রুপ সেরা হতে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো শ্রীলঙ্কা অথবা পাকিস্তানকে। গতকাল শ্রীলঙ্কাকে জিততে হতো ২৯৪ রানের ব্যবধানে! আর লক্ষ্যটা ২০০ হলে পাকিস্তানকে সেটা করতে হতো ৮.১ ওভারে। এটা অবাস্তব বলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন কোহলি। সরাসরি নাম না করে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রাখেন মাশরাফিদের। কারণ ম্যাচটি হবে বার্মিংহামের এজবাস্টনে। এই ভেন্যুটাকে নিজেদের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বলে মনে করেন কোহলি, ‘বার্মিংহাম আমাদের খুব পছন্দের একটা মাঠ। আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে এখানকার উইকেট মানানসই। ’

খুব একটা ভুল বলছেন না কোহলি। এখানে খেলা ৯ ওয়ানডের ছয়টিই জিতেছে ভারত। ২০১৩ সাল থেকে জিতেছে আবার টানা চার ম্যাচ। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানকে মাত্র ১৬৫ রানে গুটিয়ে জিতেছিল ৮ উইকেটে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে এজবাস্টনেই ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর ২০১৪ সালে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারায় ১১৭ বল হাতে রেখে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করেছিল (১২৪ রানের জয়) এজবাস্টনেই। তাই বাংলাদেশকে এমন আগাম বার্তা কোহলির।

কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে কোহলির। বিসিসিআইয়ের অনেক কর্তা আবার কোহলিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে কোচ হিসেবে রেখে দিতে চান কুম্বলেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বিদায় নিলে কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠত নিশ্চিত। বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিলেও উঠবে সেটা। এটা বুঝেই কোহলি জানালেন, ‘পেছন ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জিতলেও উন্নতির জায়গা থাকে সব সময়। আর আমরা সেই রাস্তাটাই খুঁজি। আসলে আপনাকে সৎ থাকতে হবে। মাঝে মাঝে সতীর্থদের খারাপ লাগে এমন কিছুও বলতে হবে। তারা কোথায় ভুল করল সেটা তুলে ধরতে হবে সামনে। এর বাইরে নই আমিও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়াতে চেয়েছিলাম। গোটা দল তাতে সাড়া দেওয়ায় খুশি আমি। ’

বাংলাদেশের বিপক্ষে নিশ্চয়ই আক্রমণের এই তীব্রতাটা আরো বাড়াতে চাইবেন কোহলি। এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেই উপায় নেই। মর্যাদার টুর্নামেন্টে কেন বারবার ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, এর উত্তর জানা নেই তাঁরও। ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে শুনতে হয়েছে বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দেবেন কি না—এমন প্রশ্ন। জবাবে দাঁতে দাঁত কামড়ে ভিলিয়ার্স জানালেন, ‘অবশ্যই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে চাই। কারণ আমি ভালো অধিনায়ক আর বিশ্বাস করি দলটাকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারব। ’

আইসিসি

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts