ইংল্যান্ডকে ২১১ তেই আটকে দিল পাকিস্তান

ইংল্যান্ডের ২৭০-২৮০ রান নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ শুরু হলো পাকিস্তানি পেসারদের তাণ্ডব। হাসান আলি ও জুনায়েদ খানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরে আসল পাকিস্তান। রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম শুরু করে দেয় আক্রমণাত্মক খেলতে অভ্যস্ত ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ২১২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দেয় ইংল্যান্ড।

কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সরফরাজ আহমেদ। পাকিস্তানি বোলারদের দাপটের মুখে পড়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারের এক বল বাকি থাকতে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে জো রুট ৪৬, জনি বেয়ারস্টো ৪৩, বেন স্টোকস ৩৪ এবং এউইন মরগ্যান করেছেন ৩৩ রান। অ্যালেক্স হেলস ১৩ এবং মঈন আলি করেন ১১ রান।
পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। রুম্মান রইস ও জুনায়েদ দুটি করে ও শাদাব খান নেন একটি করে উইকেট।
দুই ওপেনার বেয়ারস্টো ও হেলস আক্রমণাত্মক শুরু করেন। তবে অভিষিক্ত রুম্মান রইসের করা ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে কভারে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে হেলস ফিরে গেলে হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে বেয়ারস্টো-রুট মিলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন।
জুটি ভাঙতে ১৭তম ওভারে প্রথমবারের মতো হাসান আলিকে আক্রমণে আনেন সরফরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে সময় নেননি হাসান। তার করা ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ হাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়ের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া বেয়ারস্টো।
তৃতীয় উইকেটে রুট-মরগ্যান মিলে আরেকটি দারুণ জুটি গড়লে কক্ষপথেই থাকে ইংল্যান্ড। শাদাব খানের করা ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে রুট ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ৪৮ রানের জুটি ভাঙে।
এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় হাসান আলির করা ৩২তম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে সরফরাজকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মরগ্যান। পানি পানের বিরতির পরপরই ফের হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। জুনায়েদ খানের করা ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে সরফরাজকে ক্যাচ দিয়ে বাটলার ফিরে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের রান তখন ৫ উইকেটে ১৪৮।
বিপদের সময় জ্বলে উঠতে পারেননি মঈনও। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় ফখর জামানের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। চাপের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়েন স্টোকসও। ৬৪ বল মোকাবেলা করে কোনো চার পর্যন্ত হাঁকাতে পারেননি তিনি। শেষ তিন জুটিতে টুকটাক রান আসলেও সেটির জন্য ইংল্যান্ডকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। বোলারদের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তান চাইলে গর্ব করতেই পারে।
পাকিস্তান একাদশ: আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, রুম্মান রইস, শাদাব খান, হাসান আলি ও জুনায়েদ খান
ইংল্যান্ড একাদশ: অ্যালেক্স হেলস, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, এউইন মরগ্যান, বেন স্টোকস, জস বাটলার, মঈন আলি, আদিল রশিদ, লিয়াম প্লাঙ্কেট, মার্ক উড ও জ্যাক বল
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts