বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ব্যস্ত রাজপথে প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছেন উলঙ্গ এক যুবক। তাঁর সারা শরীর রক্তাক্ত। পিছনে ছুটছে উন্মত্ত জনতা। পুলিশের গাড়ি দেখে তাতে ওঠার চেষ্টা করেন ওই যুবক। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মারমুখী জনতার সামনে ফেলে দেন গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা!

বুধবার বিকেলে গুয়াহাটির লাল গণেশ এলাকায় পথচারীদের চোখের সামনে এ ভাবেই বেধড়ক পেটানো হল মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে। রাস্তায় এক মহিলাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ওই যুবক, এমনই অভিযোগে চলে গণপিটুনি। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, আনোয়ার হুসেন নামে ওই যুবক আগে ট্রেকার চালাতেন। কয়েক মাস আগে আচমকা মানসিক ভারসাম্য হারান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কাল পথচারী এক মহিলাকে জড়িয়ে ধরেন আনোয়ার। এলাকার কয়েক জন তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। লাল গণেশ মোড়ে মোতায়েন এক পুলিশকর্মী তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ওই সময় পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিল। রক্তাক্ত ওই যুবক প্রাণ বাঁচাতে তাতে ওঠার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, গাড়ির সওয়ারিরা তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেন। ফের ওই যুবককে প্রচণ্ড মারধর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অসহায় যুবককে বাঁচানোর কোনও চেষ্টা করেননি গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ আনোয়ারকে উদ্ধার করে।

গণপিটুনির ভিডিও আজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়াতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। তার জেরে ফাটাশিল থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ওই যুবকের উপর হামলায় জড়িতদের পাশাপাশি গাড়ির পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ‘ফুটেজ’ থেকে ওই পুলিশকর্মীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।