শতরানের উদ্বোধনী জুটি পেল পাকিস্তান

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক   ভারতের বিপক্ষে আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো শতরানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছে পাকিস্তান।

ওভালে রোববার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ২৩ ওভারে ১২৮ রান পর্যন্ত এই জুটি অক্ষুন্ন ছিলেন দুই ওপেনার আজহার আলী (৫৯) ও ফখর জামান (৫৬)। প্রথম উইকেটের দেখা পেতে ভারতকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৩তম ওভার পর্যন্ত। ৫৯ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন আজহার।

আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে আমির সোহেল ও সাঈদ আনোয়ারের ৮৪ রান। আজহার-ফখর জুটি ছাড়িয়ে গেলেন তাদের পূর্বসূরি সোহেল-আনোয়ার জুটিকে।

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও পাকিস্তানকে শতরানের (১১৮) উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়েছিলেন আজহার-ফখর। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম টানা দুই ম্যাচে শতরানের উদ্বোধনী জুটি পেল পাকিস্তান।

ভারতের বিপক্ষে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের পঞ্চাশ পেরোনো উদ্বোধনী জুটি আছে আর মাত্র একটিই- ২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে সাঈদ আনোয়ার ও তৌফিক উমরের ৫৮ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য বড়সড় ধাক্কা খেতে বসেছিল পাকিস্তান। জাসপ্রিত বুমরাহর করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ফখর জামান। এর পরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বুমরাহর করা বলটি লাইনের বেশ বাইরে ছিল। ফলে একটি জীবন পেয়ে যান ফখর। সেই সুযোগটা ভালোমতোই কাজে লাগাচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

আজ ফাইনালে টসভাগ্যটা গেছে বিরাট কোহলির পক্ষে। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। সেমিফাইনালের দল নিয়েই ফাইনালেও খেলছে ভারত। যার অর্থ, অশ্বিন খেলছেন ভারতের হয়ে। ফাইনালে একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ আমিরকে ফিরিয়েছে দলটি।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের কথা কারোরই ভোলার কথা নয়। মুহূর্তে মুহূর্তে রং পাল্টানো ম্যাচটা সবারই হৃদস্পন্দন অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াই মানেই ধ্রুপদি ব্যাটিং ও অনন্যসাধারণ বোলিং দক্ষতার প্রদর্শনী। আজও তেমনই কিছু দেখার প্রত্যাশায় রয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে মাঠে নামছে ফেভারিট ভারত ও আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান।  বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts