বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ম্যাচ শেষে ততক্ষণে একে একে রিজার্ভ বেঞ্চে ফিরে গিয়েছেন সকলেই। ফাঁকা মাঠে তখনও দাঁড়িয়ে ব্রাভো ও স্টেগেন। স্টেগেনের মতো জুনিয়র গোলকিপারের কাছে হারতে হয়েছে ব্রাভোকে। হয়তো শুভেচ্ছাই জানাচ্ছিলেন। জড়িয়ে ধরলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। গ্যালারির লাল অংশ ততক্ষণে ভিজে উঠছে চোখের জলে। সাদা প্রান্তে তখন উৎসব। এটাই হয়তো ফুটবল।
মাঠের মধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল ভিদালের মতো উগ্র ফুটবলারকে। স্যাঞ্চেজ মুখ ঢাকলেন জার্সিতে। পাস দিয়ে যেতে যেতে মাথায় হাত বুলিয়ে গেলেন কোনও এক জার্মান। ফুটবলের রাত শেষ হল এ ভাবেই। প্রথমবারের মতো কনফেডারেশন্স কাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
কে বলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল চিলি? কে বলবে জার্মান রিজার্ভ বেঞ্চের সামনে নীল শার্টে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি সফলতম কোচ জোয়াকিম লো? চিলির খেলায় যে কোনও আতঙ্কই ছিল না। শুরু থেকে শুধু অ্যাটাক অ্যাটাক অ্যান্ড অ্যাটাক। চিলির আক্রমণে নাস্তানাবুদ হতে হল জার্মান ডিফেন্সকে। গোলের নিচে স্টেগেনও তখন ত্রস্ত। এই বুঝি তাঁকে কাটিয়ে চিলির স্ট্রাইকাররা জালে বল জড়িয়ে দিলেন। ২০ মিনিটের সেই খেলা যে একটা কাউন্টার অ্যাটাকেই অন্য মোড় নেবে তা কে জানত। কিন্তু ফুটবলে যে সবই সম্ভব তা আবারও প্রমাণ করল কনফেডারেশন কাপের ফাইনাল।
ঠিক যেমন তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ের ম্যাচে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ২-১এ পর্তুগালের কাছে হেরে যেতে হল মেক্সিকোকে।