লক্ষ্য অর্জনে সরকার ও ব্যক্তিখাতের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ডেইলি সান আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

 

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকার বেসরকারি খাতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ এবং ডেইলি সান আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনাসভার বক্তারা এসব লক্ষ্য অর্জনে অথনৈতিক বৈষম্য দুরীকরণের প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন তারা

শনিবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স কক্ষেটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মানবাধিকার র্শীষক এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর

জাতীয় মানাবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য . সামসুল আলম, মানবাধিকার কশিনের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ইউনাটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হামিদুল হক, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী এবং নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান অংশগ্রহণ করেন

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এসডিজির ১৬৯টি টার্গেটের মধ্যে ১৫২টি টার্গেটই মানবাধিকারের সাথে সম্পর্কিত তাই এসডিজি অর্জনে মানবাধিকারের বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ

তিনি বলেন, “এসডিজি বিশাল একটি বিষয় এবং সরকারের একার চেষ্টায় এটা অর্জন করা সম্ভব নয় তাই সকলকে সম্পৃক্ত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে

রিয়াজুল হক বলেন, আগে প্রত্যেকটি কাজআমলাতান্ত্রিকভাবে হলেও বর্তমান সরকার এখন প্রতিটি কর্মকাণ্ড এবং আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মতামত আরো বেশি করে নিতে হবে

যেসব সুন্দর সুন্দর আইন আমাদের দেশে আছে সেগুলোর উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে আমরা এগিয়ে যাবো তবে সেসব আইনে কোনো ত্রুটি থাকলে সেগুলো আমাদের তুলে ধরতে হবে এবং সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে তা পরিবর্তন করতে হবে

টেকসই লক্ষ্য অজর্ন করতে হলে যে মানুষগুলো পিছনে পড়ে আছে তাদেরকে বেশি সুযোগসুবিধা দিতে সামনেন নিয়ে আসতে হবে উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন, “মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার হচ্ছে প্রত্যকটি মানুষের, তিনি যত সংখ্যালঘু বা ক্ষুদ্রই হোন না কেন তার অধিকার যতদিন পর্যন্ত নিশ্চিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা মনিটরিং করে যাবো এবং যেখানেই ভ্রান্তি দেখবো তা তুলে ধরবো আশা করি, সরকার তা গুরুত্বসহকারে দেখবেন সকলকে সম্পৃক্ত করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, এনজিও এবং ব্যক্তি খাতও অনেক ভালো কাজ করছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসছে ব্যক্তি খাত থেকে

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসডিজির উদ্দেশ্য কাউকে পেছনে ফেলে রাখা নয়ধনী, দরিদ্র সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া তিনি বলেন, ২০১৫ সালে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজির মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পর ১৫ বছর মেয়াদি সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি শুরু হয়েছে এমডিজির যে অগ্রযাত্রা তার উপর ভিত্তি করে আমরা এসডিজি অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছি

বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২১ সালের রপকল্প বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়াসহ ৮৩ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার, যেখানে পৃথিবীর অনেক দেশই ১৫ বছরের বেশি পরিকল্পনা নিতে পরেনি সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে

অন্যান্যের মধ্যে নারী শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনীত বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আকতার হোসেন, মেঘনাগুহ ঠাকুরতা নুরুন নাহার ওসমানি, সাবেক সদস্য এরোমা দত্ত মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, বিজিএমইএএর জৈষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির শর্মিলা রসুল, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফ্রেড উইটইভেন এবং আদিবাসী অধিকার কর্মি সঞ্জীব দ্রং আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন

 

বার্তা প্রেরক : ফিরোজ আল মামুন

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts