বিডি মেট্রোনিউজ ॥ বেআইনিভাবে বিয়ার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মামলায় যমুনা গ্রুপের কর্ণধার নূরুল ইসলাম বাবুল ও তার স্ত্রী, ছেলেসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান লিখন জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানিতে বাবুল, তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম ও তাদের ছেলে শামীম ইসলাম মামলা থেকে ‘অব্যাহতি’ চাইলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।সালমা ইসলাম ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে রেহাই চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। তবে বাবুলের পক্ষে একই আবেদন করা হলে তা নাকচ হয়ে যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আজাদুল ইসলাম ছালাম ২০০৪ সালের ৮ মার্চ এই মামলা দায়ের করেন।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ক্রাউন বেভারেজের কারখানায় বেআইনিভাবে বিয়ার উৎপাদন করে তা বাজারজাতকরণের অভিযোগে আনা হয় এ মামলায়।
মামলা হওয়ার ২৩ দিন পর ৩১ মার্চ ক্রাউন বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নূরুল ইসলাম ও সালমা ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক মো. সুরোজ রহমান শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া হান্টার ও ক্রাউন নামে দুটি বেভারেজ উৎপাদন করে ক্রাউন বেভারেজ, যা আসলে বিয়ার। ওই দুটি পণ্য বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি দৈনিকে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়।
মামলাটি পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। হাই কোর্টের স্থগিতাদেশে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন স্থগিত থাকলেও গতবছর ৪ অগাস্ট তা উঠে গেলে মামলার শুনানি শুরু হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর নূরুল ইসলাম বাবুল, তার স্ত্রী ও ছেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। অন্য আসামি সুরোজ রহমান হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল হয়।