বিডি মেট্রোনিউজ ॥ সার্কূলারের জন্য ব্যবসায়ীদের অভিনন্দন। ধাতব মুদ্রা (কয়েন) গ্রহণে বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়ার ঘটনায় সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির নেতারা। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ এ আইন মানতে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করারও দাবি জানান তারা।
গতকাল বুধবার সমিতির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সাধারণ সভায় এ দাবি জানানো হয়। সমিতির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক রেজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের ঊর্ধতন কর্মকর্তা হাজী মোশাররফ হোসেন, গোলাম ফারুক তালুকদার, আবদুল কাইয়ুম জজ, আবদুল হান্নান, হাজী দুলাল, হাজি মো. কাওসার ভান্ডারি প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ধাতব মুদ্রা নিয়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর খামখেয়ালিপনায় হাজার হাজার বেকারি মালিক এখন পথে বসার উপক্রম। এমন অনেক বেকারিমালিক রয়েছেন যাদের পুঁজির প্রায় পুরোটাই কয়েনে আটকে আছে। তিনি বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় শাখাগুলো ধাতব মুদ্রা নিচ্ছে না। এমন একটি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ উদ্যোগ হাজার হাজার ক্ষুদ্র বেকারিকে বন্ধের হাত থেকে রক্ষা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বেও এমন সার্কুলার দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক রেজু বলেন, বেকারি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ মালিক-শ্রমিকের কথা মাথায় রেখে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে শ্রমঘন এ শিল্পে পূণরায় কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সার্কূলারের বিষয়টি তফসিলি ব্যাংকগুলো যাতে কৌশলে এড়িয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান তিনি।
গত ১১ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘অনেক ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা যথাযথভাবে গ্রহণ করছে না। ফলে ধাতব মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে জনসাধারণ বিড়ম্বনায় পড়ছেন এবং তাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনে বিঘণ সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায় জনসাধারণের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে সব তফসিলি ব্যাংককে তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে সব ধরনের ধাতব মুদ্রা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হলে ও এ বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।’