বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার দুই আসামি সাদ্দাম ও পিচ্চি আল আমিন নিহত হয়েছে । শুক্রবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) গোলাম সাকলায়েন শিথীল বলেন, ব্যবসায়ী সিদ্দিক হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে আফতাবনগরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। ডিবি পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
এসি গোলাম সাকলায়েন আরো বলেন, উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে আলামিন ও সাদ্দাম আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুইজনই বনানীর ব্যবসায়ী সিদ্দিক হত্যায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
গত ১৪ নভেম্বর রাতে ‘এমএস মুন্সি ওভারসিজ’ নামে রিক্রুটিং এজেন্সির কর্ণধার সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করে চার দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তা মির্জা পারভেজ, মোখলেসুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনানী থানায় নিহত ব্যবসায়ী সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সিদ্দিক মুন্সি হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হেলালকে গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পরদিন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, হেলাল ছাড়াও সিদ্দিক হত্যায় জড়িত পিচ্চি আল আমিন ও সাদ্দাম নামের দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।