বিডি মেট্রোনিউজ ॥ প্রথম ম্যাচের চেয়ে ব্যাটে-বলে আরও গোছানো পারফরম্যান্স দেখাল বাংলাদেশ। জয়টাও তাই এল অনায়াসে। ৪২ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাশরাফিরা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও ৩ উইকেট নিয়েছেন সাব্বির রহমান।
প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও অর্ধশত করতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। তবে বেশ কজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাগতিকরা তুলতে পারে ৩ উইকেটে ১৬৭ রান। শুরুটা ভালো হলেও পরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১২৫ রান।
টানা দুই ওভারে উইকেট পেয়েছেন সাব্বির রহমান। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ফেরানোর পর এই লেগ স্পিনার ফিরিয়েছেন রিচমন্ড মুতুমবামিকে। জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারকে সহজ ক্যাচ দেন।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেয়েছেন শুভাগত হোম চৌধুরীর। তার অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন শন উইলিয়মস।
সপ্তম ওভারে বোল্ড করে ভুসি সিবান্দাকে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর সাব্বিরের করা নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২৮ বলে ৩০)।
সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও অর্ধশত করতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাগতিকরা তুলতে পারে ৩ উইকেটে ১৬৭ রান।
তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার আরেকটি ভালো শুরু এনে দেন দলকে। জিম্বাবুয়ের বোলারদের বাজে বোলিংকে কাজে লাগিয়ে দুই ওপেনার মাঠের চারপাশে আছড়ে ফেলেন বল। তবে সিঙ্গেল নেওয়ায় ততটা মনোযোগী ছিলেন না দুজন। প্রথম ৬ ওভারে দুই বাঁহাতি ৬টি চার ও দুটি ছক্কা মারলেও ডটবল ছিল ২০টি। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৪৬ রান।
১৭ বলে ২৩ রান করে তামিম আউট হয়েছেন টাওরাই মুজারাবানির স্লোয়ারে ল্যাপ সুইপ করতে গিয়ে। সৌম্য ছাড়িয়ে যান টি-টোয়েন্টিতে নিজের আগের সেরা স্কোর (৩৭)। তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি তিনিও। গ্রায়েম ক্রেমারকে ডাউন দা উইকেটে খেলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন চারটি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৩ করে।
গত ম্যাচে যেখানে থেমেছিলেন, সাব্বির শুরু করেছিলেন যেন সেখান থেকেই। প্রথম থেকেই ছিলেন সপ্রতিভ। চারে নেমে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ১ রান করেই। তবে মুশফিকুর রহিম খেলেছেন নিজের মতোই।
চতুর্থ উইকেটে দারুণ গতিতে রান তুলছিলেন সাব্বির ও মুশফিক। হঠাৎ ছন্দপতন মুশফিকের চোটে। ১৬তম ওভারের শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে মুশফিকের; বাধ্য হন উইকেট ছাড়তে (২০ বলে ২৪)।
শেষ ৪ ওভারে সাকিব ও সাব্বির তোলেন ৩৯ রান। ৩০ বলে ৩ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির। শেষ ওভারে একটি ছক্কাসহ ১৭ বলে অপরাজিত ২৭ করেন সাকিব।
বাংলাদেশ খেলছে প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই। তবে বড় পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ে দলে। মাশরাফির সঙ্গে টস করেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা! একাদশে নেই নিয়মিত অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা।