বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে গত দশবছরে সাড়ে পাঁচ’শ মানুষ নিখোঁজ বা গুম হয়েছেন।
নিখোঁজ এসব মানুষের পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে তাদের যে ক্যাটাগরি সেখানে দেখা যায়, কাউকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। কয়েকজন কে ডিবি অফিসে পাওয়া গেছে। হারিয়ে যাওয়া মানুষদের কারাগারে প্রেরণ করার তথ্য রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরবর্তী সময়ে র্যাব হাজির করেছে।
এছাড়া অপহরণ বা গুমের শিকার বেশ কয়েকজনকে পরে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গুমের ঘটনায় প্রায় সবক্ষেত্রেই কোনো না কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের এআইজি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন্স সহেলী ফেরদৌস বলেন, “পুলিশ বাহিনীর মধ্যে একমাত্র ডিবি সাদা পোশাকে গ্রেফতার করে থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউনিট এবং থানা এ বিষয়টি অবগত থাকে। তবে পুলিশের কোনো সদস্য ক্রাইমের উদ্দেশ্যে ডিবি পরিচয়ে যদি কিছু করে থাকে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এরকম ব্যবস্থা নেয়াও হয়েছে।”
তবে মিস সহেলী ফেরদৌস বলছেন, অন্য কোন বাহিনী বা ডিবির নামে কেউ যদি এরকম কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে তার দায় পুলিশ নেবে না।
বাংলাদেশে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কারা ধরে নিচ্ছে বা কোথায় রাখা হচ্ছে তার কোনো স্পষ্ট জবাব মেলে না কখোনোই। এ কারণে উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র : বিবিসি