বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নারায়ণগঞ্জের মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আলোচিত অস্ত্রধারী নিয়াজুল ইসলামকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নিয়াজুলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারে সাংবাদিকদের আল্টিমেটামের বিষয়ে পুলিশ সুপার মইনুল হক জানিয়েছেন, স্থানীয় থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করতে। তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
হকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে গত মঙ্গলবার শামীম ওসমানের সমর্থক ও হকাররা মেয়র আইভীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় মেয়র আইভী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়। এই হামলায় নিয়াজুল ইসলামকে পিস্তল হাতে দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, নিয়াজুল ১৯৮৮ সালের আগস্টে চাষাঢ়ার জোড়া খুনের অন্যতম আসামি ছিল। ওই মামলায় জেলও খেটেছিল সে। এ ছাড়াও সে হত্যা ও অস্ত্রসহ বেশকয়েকটি মামলার আসামি ছিল। যুবলীগের সাথে যুক্ত থাকায় রাজনৈতিক বিবেচনায় ওইসব মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির জানিয়েছেন, নিয়াজুল যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবেই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। নিয়াজুলই প্রথম মেয়রকে বাধা দিয়ে চলে যেতে বলে। এরপরই মেয়রের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী নিয়াজুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
তবে মঙ্গলবার নগরীর চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নিয়াজুলকে যুবলীগের সিনিয়র ত্যাগী নেতা এবং সে তার অনুগত দাবি করে সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, নিয়াজুল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। তাকে তিনবার মারধর করলে সে আত্মরক্ষায় অস্ত্র বের করে।
এদিকে আজ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে হকারদের বসতে দেখা যায়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে হকারদের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাতে পুলিশে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধ সড়ক ছাড়া অন্য সড়কগুলিতে বিকেল পাচটার পর থেকে রাত নয় পর হকার বসতে পারবে ।