শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ নিখোঁজ তিনজন গ্রেপ্তার

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রোববার রাতে মোতালেবকে মোহাম্মদপুরের বছিলা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী নাসির উদ্দিন ও লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিএমপির উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসিরের কাছে নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব ও নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে।

এই তিনজনের মধ্যে মোতালেব ও মতিনকে শনিবার বিকালে বছিলা ও গুলশান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায় বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার বনানীর একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেখান থেকে বেরোনোর পর দুপুর থেকে নাসিরের খোঁজ মিলছিল না বলে তার পরিবার জানিয়েছিল।

শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নে। তিনি গ্রীন রোডে সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। বছিলায় নিজস্ব জমিতে ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে কর্মরত উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন নিখোঁজ হন। তিনি খিলক্ষেত এলাকার লেকসিটি কনকর্ডে থাকতেন। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের মহাসচিবও তিনি।

একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (দ্বিতীয় শ্রেণির) হয়েও ঢাকায় ছয়তলার বাড়ি করা এবং আরেকজন উচ্চমান সহকারী (পিয়ন) হয়েও লেকসিটির মতো এলাকায় ফ্ল্যাটে থাকার বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেই আলোচিত হচ্ছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে গত নভেম্বরে লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি করে এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ করে স্কুলটি চালুর নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডে ফাইল চালাচালি করছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন। লেক হেড গ্রামার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছিলেন।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts