বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘পঞ্চ গীতিকবির গানে স্বদেশ চেতনা’ বিষয়ে গবেষণা করছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অনিমা রায়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্বজিৎ ঘোষ ও লীনা তাপসী খানের গাইডে তিনি পিএইচডি’র বিষয়ে গবেষণা করছেন। চলতি বছরের শেষপ্রান্তে তিনি এ বিষয়ে তার ভাবনার উপস্থাপন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। সময়মতো যথাযথভাবে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করতে পারলে চলতি বছরের শেষদিকেই অনিমা রায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গবেষণা অনেক কঠিন একটি কাজ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের গানেরই এত ব্যাপ্তি, তাদের কোনটা ছেড়ে কোনটা নিয়ে গবেষণা করব সেটাই অনেক ক্ষেত্রে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গবেষণায় অনেক শ্রম দিয়ে, অনেক কষ্ট করে একটি যথাযথ ভাবনাই উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
এ সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন ১২ জুলাই। ২০০৮ সালে কলকাতার রাগ মিউজিক থেকে ‘অচেনা পরদেশী’ নামে তার প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ্যালবাম প্রকাশ হয়। একই বছর আমাদের দেশের ফাইম মিউজিক থেকে ‘প্রতীক্ষা’ নামে কলকাতার রত্মা মিত্র ও আমার ডুয়েট এ্যালবাম বের হয়। লেজার ভিশন থেকে ২০০৯, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৫ সালে প্রকাশিত এ্যালবাম যথাক্রমে ‘কোথা যাও’, ‘আমি চিত্রাঙ্গদা’ ‘ইচ্ছামতি’ ও ‘তোমার বিরহে’। এছাড়া ২০১৪ সালে ইমপ্রেস অডিও থেকে প্রকাশিত হয় একক এ্যালবাম ‘রবির আলো’।
এমন ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পান অনিমা রায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে ছাদের উপর কেটে ফেলা গাছগুলোর কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন। তখন তিনি লিখেন, আমার সবুজ, তোদের আমি রক্ষা করতে পারলাম না, ক্ষমা করিস। আমার ছাঁদ বাগানটি ধ্বংস করা হলো। এই ছাদে আর নানান রং এর ফুল ফুটবে না। প্রজাপতি আসবে না। ফল ধরবে না। পাখিরা আর গাছের ফল ঠোকড়াবে না।
অনিমা বলেন, প্রতিটি গাছ আমার নিজের হাতে লাগানো, নিজে পরিচর্চা করতাম শত ব্যস্ততার মধ্যেও।প্রতিটি গাছের সাথে আমার কত শত স্মৃতি কী করে ভুলবো আমি তাদের!
অনিমা রায় জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ছাদ বাগানের পরামর্শ দিয়েছেন। পরিবেশবিদদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে তিনি ছাদ বাগান করেছিলেন। গাছের পরিচর্চায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পরিচর্যা করতেন।
বেশ দৃষ্টি নন্দন ও সবুজে ঘেরা এই শিল্পীর ছাদ বাগান নিয়ে নিয়ে একাধিক টিভি চ্যানেলেও প্রতিবেদন প্রচার হয়েছিল।
অনিমা রায়ের স্বামী সাংবাদিক, উপস্থাপক তানভীর তারেক গাছ কেটে ফেলা প্রসঙ্গে বলেন, যত্নের জায়গা থেকে মানুষ ছাদ বাগান তৈরি করে। আর যত্নের জিনিস বলেই প্রতিদিন দু-তিনবার ছাদ বাগান পরিস্কার করা হতো। যেখানে নিয়মিত পরিচর্চা করা হয় সেখানে কখনই ডেঙ্গুর জন্ম হয় না।