এস.এম ইলিয়াস জাবেদ, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া গ্রামের বালুমহলে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে শ্রমিকদের হামলার শিকার হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাম মোহাম্মদ শহিদুল হক সহ অন্ততঃ ১০ জন ।
এদের মধ্যে ৬ জনকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এরা হলো কলাপাড়া থানার সহকারী পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.জামান হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল হায়দার আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ীর ড্রাইভার মো.আফজাল হোসেন, স্পিবোড চালক সাগর, তহশিলদার আবদুল জব্বার ও রফিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত ৮ জনকে তিন মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে । দন্ডপ্রাপ্তরা হলো জহিরুল ইসলাম, হাবিব, বশির আহম্মেদ, জহিরুল ইসলাম, মাসুদ রানা, মিরাজ, ওমর ফারুক ও হিরন হাওলাদার । এছাড়া হামলার নেতৃত্বদানকারী মো.লিটন গাজী ও রানা এদের দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, বালুমহল এলাকায় একই স্থানে ৮টি বাল্কহেড রেখে সরকারী বালুমহল থেকে বালু কেটে নিচ্ছিল। ৮টি বাল্কহেডে অন্ততঃ অর্ধশতাধিক শ্রমিক ছিল। বাল্কহেডের মালিক কে জানতে চাইলে শ্রমিকরা পাঁচটি বাল্কহেড’র মালিক কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের লিটন গাজী বলে জানায় । তাকে শ্রমিকরা খবর দিলে সে সহ অর্ধশত শ্রমিকরা ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃত ৮ জন শ্রমিকদের ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী টিমের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে । এসময় কলাপাড়া থানা পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সহায়তা চেয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বেঞ্চ সহকারী মোঃ জাফর বাদী হয়ে গাজী মো. লিটন, মো. রানা সরদার, মো. কেরামত আলী খান ও মো. নিজাম কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামী রয়েছেন ২৫ জন।