খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: অসত্য তথ্য দিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিডি’র চাল সংগ্রহ ও মজুদের অপরাধে আব্দুর রহিম হাওলাদার নামে এক যুবলীগ নেতার জেল-জরিমানার ঘটনায় ঝালকাঠির নলছিটিতে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন শিকদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবলীগ নেতাকে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহযোগিতার অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবি করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম হাওলাদার কুশঙ্গল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কুশঙ্গল গ্রামের আ. বারেক হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২ মে) বিকেলে যুবলীগ নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৪ বস্তা চালসহ তাকে আটক করে প্রশাসন। পরে তাকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাখাওয়াত হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
নলছিটি উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, অসত্য তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারি চাল সংগ্রহ করার কথা স্বীকার করলে আব্দুর রহিম হাওলাদারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জব্দকৃত চালগুলো উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি চাল আত্মসাৎ ও মজুদের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এসময় তারা যুবলীগ নেতা আব্দুর রহিমকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহযোগিতার অভিযোগ তুলে কুশঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন শিকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে তার বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভকারীরা সাংবাদিকদের জানান, অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য সরকারের ভিজিডি কার্ড আব্দুর রহিমের কাছে কিভাবে গেল সেটার তদন্ত হওয়া দরকার। সে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ট্যাগ অফিসারের সহযোগিতায় ওই কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে সরকারি বরাদ্দের চাল উঠিয়ে নিতেন। সেই চালই তার ঘরে মজুদ ছিল।
তারা অভিযোগ করেন, ওই কার্ডধারীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে থাকা মাস্টাররোলে স্বাক্ষর/টিপসই কারা দিলো এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। পরিষদের অনিয়মের দ্বায়ভার চেয়ারম্যান কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। এ কারণে আমরা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন শিকদারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছি।