বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে নিজ সামর্থ্যের মধ্যে অসচ্ছল মানুষ ও প্রবাসীদের পাশে থেকেছেন পিয়া জান্নাতুল। জনপ্রিয় এ মডেল জানান, প্রবাসী সহ প্রায় এক হাজার মানুষ ও তাদের পরিবারের পাশে তিনি ছিলেন।
পিয়া বলেন, করোনায় প্রবাসীদের কাজ বন্ধ থাকায় দেশের বাইরে থেকে তারা টাকা পাঠাতে পারে নি। তাদের সঙ্গে আমার পেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে যতদূর পেরেছি সাহায্য করেছি। তাদের পরিবারের পাশে থেকেছি। সবমিলিয়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে সাহায্য দিয়েছি। এর মধ্যে ৩০ পার্সেন্ট ছিলেন প্রবাসীদের পরিবার।
এছাড়া তিন ক্যাটাগরিতে মানুষের পাশে ছিলেন পিয়া জান্নাতুল। ঈদের আগে যাদের খাদ্য সংকট, বাচ্চাদের পোশাক প্রয়োজন এবং বাবা-মায়ের মেডিসিন দরকার তাদের সাহায্য করেছেন তিনি। পিয়া বলেন, করোনার মধ্যে বাইরে যাওয়া ঝুঁকি ছিল। ইমেইলে খোঁজখবর নিয়ে প্রত্যেকের পরিবারকে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি।
এদিকে, করোনার কারণে আগের মতো পুরোপুরি কাজ শুরু না হলেও সীমিত আকারে কাজ করছেন পিয়া। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল কাজ করছি। আজ (বৃহস্পতিবার) এফডিসিতে একটি প্লাস্টিক চেয়ারের টিভিসি’র শুটিং করছি। সাইফ চন্দনের পরিচালনায় এ বিজ্ঞাপনে আরও রয়েছেন ইমন এবং নিরব।
এর আগে প্রথমবারের মতো একটি শর্টফিল্মে কাজ করলেন এ মিস বাংলাদেশ। পরিচালনা করেছেন ইয়াসির আরাফাত জুয়েল। ‘পাপ’ নামে এই শর্টফিল্মে পিয়ার বিপরীতে রয়েছেন এ কে আজাদ আদর। ২০ মিনিটের এ শর্টফিল্মটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানান পরিচালক।
পিয়া বলেন, গল্পটা খুব ছোট তাই শুটিংয়ে বেশি সময় দিতে হয়নি। এছাড়া পরিচালকের বাড়ি খুলনাতে আমার এলাকায়। তিনি আমার দুই ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন। আমাদের বাসার নিচে কোচিং সেন্টার ছিল। সেখানে তাকে দেখেছিলাম। কিন্তু কাজটি সময় বিস্তারিত জানতে পারি।
তিনি বলেন, কাজের ব্যাপারে আমি ভীষণ চুজি। এখানে যে গল্পে কাজ করেছি বাস্তবে এমনটা হয়ে থাকে। একজন মেয়ে যদি ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড হয় আমার কাছে মনে হয় এটা খারাপ কিছু না। আবার সে স্বামী সন্তান গৃহিণীও হতে পারে। কিন্তু কোনো মেয়ে যদি ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিতে চায়, তাহলে অনেকসময় আমরা অন্যভাবে দেখি। এটাই ‘পাপ’-এর উপজীব্য।