বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ২৩ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে ‘রেড অক্টোবর ফিল্মস’ এর ব্যানারে নির্মিত মাসুদ হাসানের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথমে শুধু রাজধানী শহরের স্টার সিনেপ্লেক্সগুলোর শাখাতেই মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত ছিলো।
কিন্তু দর্শকের তুমুল আগ্রহে শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন নির্মাতা। জানালেন, দর্শকের তীব্র দাবীর মুখে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও মুক্তি পাচ্ছে।
নির্মাতা মাসুদ হাসান জানান, ২৩ অক্টোবর থেকে ঢাকার বাইরে শুধু চট্টগ্রাম সিলভার স্ক্রিনে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তি পাচ্ছে। আশা করছি চট্টগ্রামের দর্শকদের ইচ্ছে পূর্ণতা পেল, এখন বাকিটা তাদের উপর।
দেশব্যাপী ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তি না দেয়ার কারণ হিসেবে এরআগে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন নির্মাতা। জানিয়েছিলেন, ‘কেবলমাত্র স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনেকে হতাশ হয়েছেন , নিজের ক্ষোভ বা আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। তাদের আবেগ আমাকে আরো অনেক বেশী দায়বদ্ধ করে তুলেছে। তাই মনে হলো সবার কাছে আমার নিজের অবস্থানটা পরিস্কার করা উচিত।’
গেল শনিবার সন্ধ্যার পর ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তির ঘোষণার সাথে সাথে ছবিটি নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। ছোট ও বড় পর্দার তারকা অভিনেতা থেকে নির্মাতা, কিংবা শিল্পী থেকে কবি, সাহিত্যিক এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও ছবিটির পোস্টার শেয়ার করে নির্মাতা ও কলাকুশলীদের শুভ কামনা জানাতে দেখা গেছে। যা কোনো সিনেমার প্রচারণায় বিরল ঘটনা!
গেল ফেব্রুয়ারিতে বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। ছবিটি দেখে সেন্সর বোর্ডের একাধিক সদস্য ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সিনেমা মুক্তি সামনে রেখে চলছে প্রচারণার কাজ। পোস্টার, টিজার, ট্রেলার প্রকাশের পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন বেইজ বাবা সুমন। সর্বশেষ ‘এ শহর’ নামে সৌরিনের লেখা, সুর ও কণ্ঠে আরো একটি গান প্রকাশ পেয়েছে।
দ্রোহের মন্ত্রে ভালোবাসার কথা বলেন মাসুদ হাসান। কাজে। কর্মে। পরম ভালোবাসায় যে দ্রোহের মূর্তি তিনি এঁকেছেন তার সমস্ত সৃষ্টিকর্মে। ছবি থেকে গান কিংবা ভিজ্যুয়াল ফিকশনে। সব জায়গায়। নাটক, টেলিছবি আর বিজ্ঞাপনচিত্র! যে জীবন ফড়িংয়ের, ধুলোর মানুষ-মানুষের ঘ্রাণ, ফসিলের কান্না, কালো বরফ জমাট অন্ধকার কিংবা থতমত এই শহরের মতো কতো কতো গল্প আর চরিত্ররা যে জীবন পেয়েছে তার হাত ধরে!
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এ জুটি বেধে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শারলিন ফারজানা।
‘সিনেমাটিকে বিজ্ঞানমনস্ক রোমান্টিক ছবি । এটাকে সাইন্স ফিকশন বলব কিনা জানিনা, কারণ সাইন্স ফিকশন-এর গ্লোবাল যে প্র্যাকটিস আছে, সেই প্র্যাকটিস-এর মত এই সিনেমা না। টেকনোলজির ভারে আবেগ অনুভব করতে কষ্ট হবে, এমন জিনিস এখানে নেই। তবে এটি খুবই সাইন্স রিলেটেড একটি প্রোডাকশন, কিন্তু খুবই আবেগী’ – বলেন মাসুদ হাসান।