বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়বে তাতে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আলোকিত হয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় ব্রতী হবে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঙালি জাতির সকল অর্জনের বাতিঘর আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যে মানবসম্পদ গড়ে তোলা সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হবে। সমগ্র বাংলাদেশে যত বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে যাচ্ছি তাঁরাও সেটা অনুসরণ করবে এবং সেভাবেই দেশকে আমরা এগিযে নিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সংগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
‘সেলিব্রেটিং দ্য হান্ড্রেড ইয়ার্স অব দ্যা ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা: রিফ্লেকশন ফ্রম দ্য অ্যালুমনাই- ইন্টারন্যাশনাল এন্ড ন্যাশনাল’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি চাই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় একটি অগ্রণী ভ’মিকা পালন করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর হৃত গৌরব ফিরে পাক সেটাই তাঁর এবং সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক একটি বিশ্ববিদ্যালয়। কাজেই এর পূর্ব গৌরব আবার ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, গবেষণা হবে, শিক্ষার প্রসার ঘটবে- সেটাই আমরা চাই। আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা যেন বিশ্বের সংগে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। আর সেটা পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটি আমাদেরকে প্রতিটি অর্জনে পথ দেখিয়েছে। কাজেই এই বিশ্ববিদ্যালয় আরো সুন্দর এবং উন্নত হোক, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাঁর সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি ঐতিহ্যবাহী এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেন আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য গৃহীত মাস্টার প্ল্যানের আওতায় বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ সম্প্রসারণের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।
‘১৯২১ সাল থেকে ২০২১’ গৌরবময় এই শতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রোভিসি (শিক্ষা) ড.এএসএম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অপর প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ সাইটেশন পাঠ করেন। সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঢাবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামানের হাতে সম্মেলনের সুভ্যেনির তুলে দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
শেখ হাসিনা দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ‘আমি মনে করি একটা সিদ্ধান্ত নিলে সেটা করা যেতে পারে। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমরা মাথা উঁচু করেই বিশ্বে চলবো।’