বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আমরা সময়মতো ভ্যাকসিন আনতে পেরেছি, এখন তা মানুষের মধ্যে সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার কুর্মিটোলায় দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৫ জনকে টিকা দেয়া হয়।
টিকা নেয়ার আগে নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে (দেশের প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণকারী) প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার ভয় লাগছে না তো?’ উত্তরে রুনু ‘না’ বললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব সাহসী তুমি। তোমার জন্য শুভ কামনা। তুমি আরও বেশি করে রোগীদের সেবা করো।’
এরপর একে একে আরও চারজন ভ্যাকসিন নেন। ভ্যাকসিন নেবার পরে তারা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷ সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আশ্চর্যজনক এই করোনাভাইরাস সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে গেল। মানুষের কাজকর্ম করার সবকিছুতে একটা সীমাবদ্ধতা চলে এল। অর্থনীতিতে একটা স্থবিরতা চলে এল। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এই করোনার সময় মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কীভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পারি সেই চিন্তা করছিলাম।
তিনি বলেন, এমন একটা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে দেখা দিলো যার ভ্যাকসিন কোথাও নেই। সারা পৃথিবীতে গবেষণা চলছিল। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, যারা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে সব জায়গায় যেন আমরা চিঠি লিখে বলে রাখি যাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে আমরা পাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল টাকা দেওয়া। আমি ইতিমধ্যেই এক হাজার কোটি টাকা আলাদা করেই রেখেছিলাম। অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই, আমি বলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা অর্থটা ছাড় দিয়েছিল।
এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখনও করোনার ভ্যাকসিন না পেলেও বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়েছে। এজন্য তিনি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিন রুনু ছাড়া ভ্যাকসিন নিয়েছেন- চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মবিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।