যেভাবে সৃষ্টি বজ্রমেঘ

বিডি মেট্রোনিউজ বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ’ মানুষের প্রাণহানি ঘটে বলে জানান বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সুজিত কুমার দেবশর্মা।

তিনি জানান, কালবৈশাখী মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয়। সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বর্ষাকালের পর কখনও কখনও অক্টোবর-নভেম্বর মাসেও তা দেখা যায়।

আবহাওয়ার এই প্রপঞ্চের কারণ ব্যাখ্যা করে সুজিত দেবশর্মা বলেন, যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে।

“কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও হতে পারে।”

বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়, তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts