রেজাউল করিম: ঋতুর হিসেবে প্রকৃতিতে শরৎ বিরাজমান। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে শরৎ অনন্য। শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায়।
প্রভাতের স্নিগ্ধ আলো আর গোধূলি লগ্নে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমিদের পদচারণায় মুখরিত গাজীপুর কড্ডা এলাকার তুরাগ নদের পাড়।
তুরাগের কোল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য বেড়াতে আসাদের কেড়ে নিচ্ছে মন। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা প্রিয়তমাকে নিয়ে, কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। দোল খাওয়া কাশফুলের নমে ছোঁয়ায় মোহিত হচ্ছেন তারা। কেউবা সেই অনুভূতিগুলোকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন। অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
নিজের মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে আসা স্থানীয় গোলটেক এলাকার বাসিন্দা রানী বলেন- বিকেলে আবহাওয়া ভালো থাকে, মাঝে মধ্যে আসি এখানে। আমার মেয়েরা কাশবনে ঘুরতে পছন্দ করে। এখানে এসে ছবি তুলে, ভিডিও করে, খুব সুন্দর সময় কাটে আমাদের।
ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী আশিকা শেখ বলেন, শুভ্র মেঘ আর কাশফুল ছাড়া শরৎকাল কি ভাবা যায়। কাশফুলের প্রতি আমার অন্যরকম একটি মোহ আছে। সবসময় তো আর চাইলেই কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়না। কাশফুলের গন্ধ না থাকলেও নান্দনিক সৌন্দর্য আছে।
মোখলেছুর রহমান বলেন, ছেলেবেলায় দেখতাম বর্ষার শেষ দিকে প্রায় সবজায়গা কাশফুল দেখা যেতো কিন্তু এখন সেটা নেই। এখানে ব্যতিক্রম, চারিপাশে কাশফুলে ভরা। কাশফুল আমাদের গ্রামীণ একটি সৌন্দর্য। নতুন প্রজন্মের অবশ্যই কাশফুলের সংস্পর্শ প্রয়োজন। এতে ওদের মানসিক শক্তি আর কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
তুরাগ নদের পাড় ছাড়াও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাশফুলের শুভ্রতা। শহরের কোলাহল ছেড়ে একান্ত কিছু সময় ফুরফুরে মনে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, স্পর্শ নিতে পারেন শরতের কাশফুলের।