জ.ই বুলবুল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক প্রায় দেড় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে নগদ অর্থ, উপহার সামগ্রী ও উন্নত খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর পুর্ণ হওয়ার পর বদলি হলেও সততা ও মানবিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা মানুষটিকে আবারো ফিরিয়ে আনেন সংশ্লিষ্টরা।
বিগত ঈদে বন্যা কবলিত হয়ে গৃহহীন নদীর পাড়ের অসহায় মানুষদের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছিলেন একরামুল ছিদ্দিক। তখন কথা দিয়েছিলেন সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষদের পাশে ধারাবাহিকভাবেই থাকবেন,এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এক বিশেষ উপলক্ষে প্রায় দেড় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের ইচ্ছে পূরণে ছুটে যান পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের অত্যাধুনিক বিনোদন পার্কে। শুরুতেই ইউএনও সবাইকে পার্কের প্রতিটি রাইডে চড়ানোর ব্যবস্থা করেন, প্রত্যেককে নগদ একশ টাকা, চকলেটসহ উপহার সামগ্রী দেন, পরিশেষে নিজ হাতে সবাইকে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করান। শিশুরা ইউএনওকে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন! তাদের আনন্দ বাঁধ ভাংগা উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের হৈচৈ নাচানাচিতে পার্কে অন্যরকম একটা আবহ সৃষ্টি হুয়।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই এই দৃশ্য দেখে বলেছেন, নবীনগরের ইতিহাসে অতীতে এমন ব্যতিক্রম মহৎকর্ম দেখেনি, এই প্রথম একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মানবিক মহৎকর্ম দেখার সৌভাগ্য হলো।
আলমনগর গ্রামের একজন প্রাথমিক শিক্ষক জানান, ইউএনও স্যার অত্যন্ত ভালো মানুষ, শিশু, অসহায় গরীবদের উনি বরাবরই ভালবাসেন, সাধ্যমতো পাশে থাকেন। করোনাকালীন সময়ে উনার কর্মহতৎপরতা আর মানবিক অসংখ্য কাজ, বিশেষ করে নবীনগরের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে উনার বিভিন্ন পদক্ষেপ সর্ব মহলেই প্রশংসনীয় হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পথ শিশুদের উপহার সামগ্রী বা ইচ্ছে পূরণ শুধু নয়, আমি এদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিতে চাই। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সুবিধা প্রাপ্তির পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। পরিশেষে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক শাহীন রেজা টিটু,প্যানেল মেয়র আবু হানিফ, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, এম,এস,কে মাহবুব, হজরত আলী, পিয়াল হাসান রিয়াজ, মিঠু সুত্রধর পলাশ, সঞ্জয় শীল, রুহুল আমীন, সমাজসেবিকা পুতুল, যুবনেতা লিমন প্রমুখ।