ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অভিন্ন

মেট্রো নিউজ : যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, আইএসআইএস প্রশ্নে ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অভিন্ন এবং ঢাকা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানায়।

তিনি বলেন, সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিনার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই নীতিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সরকার যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিবেশী দেশগুলো এবং অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ফরেন এ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান তুলসি গ্যাববার্ড এবং হাউস কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান ডেভিড জি রিচার্ডের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ক্যাপিটাল হিলে তাদের অফিসে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন এ কথা বলেন।

বৈঠককালে জিয়াউদ্দিন তুলসি গ্যাববার্ডকে অবহিত করেন যে, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা, পরবর্তীতে হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি পুনর্বাসন এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের পুরস্কৃত করা, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তৈরি, পর পর সামরিক শাসন এবং সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও সহিংসতার জন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দায়ী।

রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন এবং নিজের ট্রাজেডিক অভিজ্ঞতার কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে বর্তমান সরকার শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে দৃঢ়ভাবে কাজ করছে।

রাষ্ট্রদূত অবহিত করেন যে, বাংলাদেশে আরএমজি খাতে কর্মী ৮৫ শতাংশ নারী এবং তারা তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং তারা দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা নিরসনে স্বাক্ষরতার ক্ষেত্রে সর্বোপরি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। নারীরা বাংলাদেশের সমাজকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিচ্ছে। সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ ঠেকাতে এটি একটি মহৌষধ।

প্রভাবশালী রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডেভিড রিচার্ডের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধা ভোগ করছে না। তিনি কংগ্রেসম্যানকে অবহিত করেন যে, ট্রান্সপ্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে প্রিফারেন্সিয়াল চুক্তি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

চরমপন্থার বিরুদ্ধে চলমান লড়াই জোরদার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যে বিশেষ করে আরএমজি পণ্যে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা বিবেচনার জন্য আহবান জানান। দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর নায়েম আহমেদ এবং তৌফিক হাসান বৈঠককালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন। বাসস

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts