জাতীয় প্রেস ক্লাব সদস্য ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সিনিয়র সহকারী সম্পাদক জিয়াউল হক (৮২) আর নেই।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫.১৫ মিনিটে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিতকারণে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বাদ এশা মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকা মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত জিয়াউল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দীর্ঘ কর্মময় জীবনে জিয়াউল হক ক্রীড়া লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে সিনিয়র সহকারি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কাজ করেছেন দৈনিক পূর্বদেশসহ আরো কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে। জিয়াউল হক ১৯৮৮-১৯৯১ সাল পর্যন্ত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
জিয়াউল হক ক্রীড়াঙ্গনে শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করতেন। বাংলাদেশ শিশু-কিশোর ক্রীড়া পরিষদের বড় দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ক্রীড়াঙ্গনের বাইরেও জিয়াউল হকের সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব গুণাবলি বিকশিত হয়েছে সাংবাদিক সমাজে। জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন।
দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সবচেয়ে সুপ্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ), যা বাংলাদেশ ক্রীড়া-লেখক সমিতি নামে সুপরিচিত। সংগঠনটির সাবেক সভাপতি তিনি।
জিয়াউল হকের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি সহ নানা সংগঠন শোক জানিয়েছে।