ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলার ভোট মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় তা শেষ হয়।ভোটগ্রহণ চলাকালে জালভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়ম হলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোট শেষ হওয়ার পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় একজনকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিন ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হয়েছে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সবাই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালী: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপু। আনারস প্রতীকে সাইফুল আলম দিপু ৩২ হাজার ১৩২ পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।
কক্সবাজার: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম। দোয়াত কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।
রাঙ্গামাটি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটির তিন উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ্তাই উপজেলায় মো. নাসির উদ্দিন, রাজস্থলী উপজেলায় উবাচ মারমা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।জানা গেছে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাপ্তাই উপজেলায় সুইপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিউটি হোসেন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজস্থলী উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা-লীগের নেত্রী গৌতমী খিয়াং। বিলাইছড়ি উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বংকিম তংচঙ্গ্যা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুদিপ্তা তংচঙ্গ্যা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মাগুরা: জেলার দুটি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। প্রার্থীদের এজেন্ট ও স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ।
পিরোজপুর: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নেছারাবাদ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ আব্দুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬শত ১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫শত ২০ ভোট। অন্যদিকে, কাউখালি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাঈদ মিঞা ১১ হাজার ২শত ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাপ প্রিচ প্রতীকের মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ৯৪ ভোট।
সুনামগঞ্জ: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও তাহিরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাচনাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ ও আপ্তাব উদ্দিন।জানা গেছে, রেজাউল করিম শামীম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৯ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩১ ভোট। ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নাসরিন সুলতানা দিপা ৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২৫ ভোট। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আপ্তাব উদ্দিন। তিনি আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবুল হোসেন খান কাপ পিরিছ প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৪০ ভোট।
পাবনা: জেলার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম হাসনায়েন রাসেল ও খলিলুর রহমান। বেসরকারি ফলাফলে ৪৫ কেন্দ্রের সম্পূর্ণ গণনায় রাসেল মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম মেজবাহুর রহমান রোজ ঘোড়া মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ ভোট।অন্যদিকে, ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির আংশিক ফলাফলে খলিলুর রহমান দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার৭৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০৭ ভোট।
কুষ্টিয়া: জেলার কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান খান। আনারস প্রতীকে ৬০ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম জিলানী নজরে মুর্শেদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।
চাঁদপুর: জেলার সদর ও ভোট হাজিগঞ্জ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আইয়ুব আলী বেপারি ও আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন। আইয়ুব আলী বেপারি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৬৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে ভোট হাজিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইন্জি. মকবুল হোসেন পাটোয়ারী ঘোড়া প্রতীকে ৩৩ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুক রুমি আনারস প্রতীকে ২৫ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ: জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাঈদ। দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ঘোড়া প্রতীকে ৪০ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা: জেলার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। ঘোড়া প্রতীকে ৫০ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪০ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিল্লুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ২৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজির উদ্দিন। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২১ হাজার ৯১১ ভোট পেয়েছেন। জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকধারী লিয়াকত আলী। তিনি ৩৭ হাজার ৫ ভোট পেয়েছেন। তার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকের আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৫৬ ভোট। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকধারী শাহ আলম স্বপন ৪৫ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকধারী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৭০ ভোট।
মেহেরপুর: জেলার গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ খালেক। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।
নীলফামারী: জেলার জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনসার আলী মিন্টু ও রিয়াদ আরফান সরকার। ঘোড়া প্রতীকে ৩৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনসার আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম আজম এলিচ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ৪৬ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াদ আরফান সরকার। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৭২ ভোট।
কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই বাবলু। হেলিকপ্টার প্রতীকে ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন।
নওগাঁ: জেলার পোরশা, সাপাহা ও নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান হোসেন মন্ডল (আনারস), মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ) ও ফরিদ আহমেদ ( মোটরসাইকেল)।
ভোলা: জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুছ (মোটরসাইকেল- ৩৩,১৫৫ ভোট), মোঃ জাফর উল্লাহ (আনারস- ২৯৭১৬ ভোট) ও মনজুর আলম খান (কাপপিরিচ- ১৩৭৩৫ ভোট)।
ফরিদপুর: জেলার নগরকান্দা উপজেলায় শাহ জামান বাবুল বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনিরুজ্জামান সরদার মটর সাইকেল প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭।
সিরাজগঞ্জ: জেলার উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সেলিনা মির্জা মুক্তি ও মনিরুজ্জামান মনি। মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৮ হাজার ১৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নবী নেওয়াজ খান বিনু হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬১ ভোট। অন্যদিকে, দোয়াত কলম প্রতীকে ৪০ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সন্জিত কর্মকার পেয়েছেন ৩৫,৬২৭ ভোট।
বাগেরহাট: জেলার চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু জাফর মো: আলমগীর হোসেন (হোসেন দোয়াত কলম ৯ হাজার ৪৫৬ ভোট), শাহীনুল আলম ছানা (দোয়াত কলম ৭হাজার ৬০৮ ভোট) ও শেখ অহিদুজ্জামান (দোয়াত কলম ২১ হাজার ৮৫০ ভোট)।
নেত্রকোণা: জেলার পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল। মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান নয়ন দোয়াত কলম প্রতীকে ২৮ হাজার ৭৭৬ ভোট পেয়েছেন।
দিনাজপুর: জেলার বিরল, বীরগঞ্জ, কাহারোল ও বোচাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, আবু হোসাইন বিপু, এ কে এম ফারুক ও আফসার আলী।বিরল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক একে এম মোস্তাফিজুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫০৩২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৬২ ভোট। বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আবু হোসাইন বিপু আনারস প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবু হোসাইন বিপু পেয়েছেন ৪৫,৩০৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩২৪১৮ ভোট। কাহারোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে এ কে এম ফারুক দোয়াত কলম প্রতীকে ৩২ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরমান সরকার মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৬৭। বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আফসার আলী ঘোড়া মার্কা প্রতীকে ভোট পেয়ে ৪৬ হাজার ৩৪৭। তার নিকট নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪০৮।
ঠাকুরগাঁও: জেলার রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আহমেদ হোসেন বিপ্লব ঘোড়া মার্কা ৪৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শইদুল হক আনারস মার্কা পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮০ ভোট ও আব্দুল কাদের মোটরসাইকেল ৩২ হাজার ২৩৫ ভোট।