ঢাকার সাভারে খামারে লালনপালন করা হচ্ছে অ্যালবিনো জাতের গোলাপি মহিষের। এই মহিষ এরইমধ্যে নজর কাড়ছে সবার।
সাভার উপজেলার আশুলিয়ার শ্রীপুর গণকবাড়ি এলাকার কাইয়ুম এগ্রোতে গিয়ে এই গোলাপি মহিষের দেখা মেলে।
খামার কর্তৃপক্ষ জানায়, ৯ বছর আগে ৭ বিঘা জমিতে গড়ে ওঠে এই খামার। গত কয়েক বছর ধরেই বাণিজ্যিক খামার থেকে মুররাহ, নিলিরাভি ও জাফরাবাদিসহ বিভিন্ন জাতের মহিষ লালন-পালন ও বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ২৬টি গোলাপি মহিষের সংগ্রহ রয়েছে তাদের। এরমধ্যে ২০টি বিক্রি হয়েছে। আর ছয়টি বিক্রির জন্য অপেক্ষমাণ।
তারা জানান, গোলাপী মহিষগুলো দেখতে যেমন নজরকাড়া, এর মাংসও খেতে সুস্বাদু। শুধু বাইরে থেকে নয় এর মাংস দেখতেও গোলাপী রঙের।
বর্তমানে এই খামারে আকার অনুযায়ী বিভিন্ন দামে কেজি হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে এই গোলাপী মহিষ। একেকটি অ্যালবিনো মহিষের ওজন হয় প্রায় ৪০০-৮০০ কিংবা ৯০০ কেজি পর্যন্ত। বর্তমানে খামারে থাকা সবচেয়ে বড় মহিষের ওজন ৭৫০ কেজি।
খামারি সূত্র জানায়, আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় এ্যালবিনো জাতের এই মহিষ পাওয়া যায়। সুখ্যাতি থাকায় বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে এই মহিষ পালন। আর অনেক ক্রেতাও বেছে নিচ্ছেন এই মহিষ।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, দেশের অনেক জায়গায় মহিষ পালন করা হয়। তবে আমাদের এখানে সম্ভবত খামারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি মহিষ রয়েছে। বর্তমানে আমাদের খামারে ৩শ-র মতো মহিষ রয়েছে।
তিনি বলেন, মহিষের রোগ ব্যাধি কম। মহিষের মাংসে গরুর চেয়ে ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান কম আছে। অনেকেই এখন মহিষের মাংসের দিকে ঝুঁকেছে তাই আমিও মহিষ পালন শুরু করেছি। এছাড়া মহিষের খরচের তুলনায় বিক্রিতে লাভ থাকে বেশি।
তিনি আরও বলেন, খামারে ওজন স্কেল বসানো হয়েছে। ক্রেতারা এসে ওজন করে মহিষ কেনেন। ৩০০ থেকে ৬০০ কেজির মহিষগুলো বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪৮০ টাকায়। তবে এর চেয়ে বড় আকারের মহিষ ওজনে বিক্রি হয়না। সেগুলো দামাদামি করেই বিক্রি হয়।
খামার সূত্র বলছে, এই খামারের পশু কেনা যায় অনলাইনেও। আর ঢাকার আশেপাশের এলাকায় দেওয়া হয় ফ্রি ডেলিভারি।