রোনালদো একটা দানব, মেসি সেই দানবের বাপ

বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতির পুরস্কারের লড়াইটা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। একটানা ১০ বছর ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করেছেন এই দুই মহাতারকা। এরপর আধিপত্য হারালেও দুজনের কেউ না কেউ ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে ছিলেন গত আসর পর্যন্ত।

এবারই প্রথম মেসি বা রোনালদোর কেউই মনোনয়ন তালিকায়ই ছিলেন না। যে বিষয়টিকে যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

ক্রমে অস্তাচলে মেসি-রোনালদো যুগ। দুজনের কেউই এখন ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলেন না। ব্যালন ডি’অরের মঞ্চেও দুজনই অতীত। কিন্তু নস্টালজিয়া তো অতীতকে ভুলতে দেয় না। ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে তাই না থেকেই ছিলেন দুই মহাতারকা।

গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) ফ্রান্সের থিয়েটার দু শাতলতে এবারের ব্যালন ডি’অর উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো হার্নান্দেজ। দীর্ঘ ৬৪ বছর পর কোনো স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের হাতে এই পুরস্কার উঠেছে। এই শতকে প্রথম ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে রদ্রি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।

২০০৭ সালের পর থেকে মেসি ও রোনালদো বাদে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন রদ্রি। পুরস্কারের মঞ্চে মেসি-রোনালদো ফিরে এসেছেন নস্টালজিয়ায়।

রদ্রির বর্তমান ক্লাব কোচ পেপ গার্দিওলা যখন বার্সেলোনার কোচ ছিলেন, সে সময়েই প্রথম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। সাবেক শিষ্যকে নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগেছেন গার্দিওলাও। কথা বলেছেন মেসি-রোনালদোর অবিস্মরণীয় দ্বৈরথ নিয়েও।

দুই মহাতারকাকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতা স্বীকার করে অতীতে তাদের সেই দ্বৈরথ নিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো (রোনালদো) একটা দানব ছিলেন… এবং মেসি সেই দানবের বাপ। এবং দুজনই শেষ ১৫-২০ বছর ধরে অবিশ্বাস্য সবকিছু করে দেখিয়েছে।’

মেসি ও রোনালদোকে এই শতকের সবচেয়ে বড় তারকার আখ্যা দিয়ে আরও দুই সাবেক শিষ্যের প্রশংসা করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ। বার্সেলোনায় তার সাবেক সেই দুই সতীর্থেরও ব্যালন ডি’অর প্রাপ্য ছিল বলে জানান গার্দিওলা।

তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে জাভি ও ইনিয়েস্তারও ব্যালন ডি’অর প্রাপ্য ছিল।’

২০১০ সালের ব্যালন ডি’অরের পোডিয়ামে মেসির সঙ্গে ছিলেন জাভি ও ইনিয়েস্তাও। তারা যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন। সেবার মেসির ব্যালন ডি’অর জয় বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts