জ ই বুলবুল, এলাকা থেকে ঘুরে এসে : নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন রাজপথের লড়াকু সৈনিক সাঈদ তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই ত্যাগী নেতা সৈনিক সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজপথের লড়াকু সৈনিক বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডাকসুর সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সাইদুল হক সাঈদ তার নিজ গ্রাম বড়াইল থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন।
এর পূর্বে তিনি গত ৩১ অক্টোবর নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে দলের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা করেন। তারই লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বড়াইল বাজার প্রাঙ্গণে এক বিশাল এক নির্বাচনী জনসভায় অনুষ্ঠিত হয়।
বড়াইল বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মো: আবুল বাসার এতে সভাপতিত্ব করেন।
জনসভায় উপজেলা বিএনপি ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। জনসভার আগেই হাজার হাজার নেতাকর্মী সাঈদের সমর্থনে ” সাঈদ ভাইকে এমপি হিসাবে দেখেতে চাই”, ” নবীনগর উপজেলায় সাঈদ ভাইয়ের বিকল্প নেই”, ” আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারুণ্যের প্রতীক তারেক জিয়া জিন্দাবাদ ” এ ধরনের বিভিন্ন শ্লোগানের ব্যানার ফেস্টুন হতে মিছিলে সভাস্থলে আসে এবং সভাস্থল স্লোগানে মুখরিত করে তোলে।
জনসভার প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডাকসুর সূর্যসেন হল শাখার সাবেক জিএস মো: সায়েদুল হক সাঈদ তার প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস সরকারের আমলে বিএনপি নেতা/কর্মী উপর অত্যাচার নির্যাতন ও দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদী দল সেই দলের লোকেরা যে আচার আচরণ আমাদের সাথে করেছে, আমরা তাদের সাথে সেটা করব না,আওয়ামীলীগ দলেও ভাল মানুষ আছে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা অত্যাচারিত জুলুমবাজ তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই,তাদের এই ফ্যাসিবাদি দলটির প্রধান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা রাষ্টের প্রতিটি স্তম্ভ ও প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতির আতুড়ঘর বানিয়েছে। তাদের নেত্রীসহ ওই সকল দুর্নীতিগ্রস্ত জুলুমবাজদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবী জানান।
তিনি বলেন, তাদের সাথে আমরা খারাপ আচরণ করব না” কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায় তাই বলে কি মানুষ হয়ে কুকুরের পায়ে কামড় দেওয়া শোভা পায় ” তিনি এই শ্লোকটি উচ্চারণ করে নেতা/কর্মীদেরকে মানবিক আচরন করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আমি আমার জন্মভূমি নবীনগরে তৃনমুল রাজনীতি থেকে উঠে এসে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসেছি,ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি,কলেজ জীবন থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন হল শাখার পদধারী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ সংগঠনসহ মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন,বিগত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিজমের জেল জুলুম হামলা মামলার শিকার হয়েছি, ২০২৪ এর জুলাই আগষ্ট বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি।
আমি নবীনগরবাসির পাশে থাকতে চাই, নবীনগরকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখি, নবীনগরকে একটি বৈষম্যহীন সুশাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে আধুনিক মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই,সেই লক্ষ্যে আমি মাঠে আছি, এই লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই আমার পথটা সহজ হবে নতুবা এই পথটা অনেক কঠিন হবে। এই ইউনিয়নের অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে আমি জড়িত। এই বড়াইলবাসী আমাকে যতটুকু ইজ্জত ও সম্মান দিয়েছেন এর কোনটারই উপযুক্ত আমি নই। রাব্বুল আলামিন আমাকে অনেক দিয়েছেন, আমার ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠিত, আমার এখন আর পিছুটান নেই, আমি জনসেবার সাথে সম্পৃক্ত আছি, আমি যদি এমপি নাও হই, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি ইউনিয়নবাসী ও নবীনগর উপজেলাবাসির জন্য আমার সাধ্যমত সেবা করে যাব।
তিনি নবীনগরের তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘আওয়ামী লীগ যা করে গেছে বিএনপি তা করবে না’ নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করবেন না, সঠিক রাজনীতি করুন, জনগণের সেবা করে জনতার মন জয় করুন, দেশ ও দলের জন্য ভালোবেসে কাজ করুন।
তিনি অন্তরভর্তীকালিন সরকার রাষ্ট্রের কিছু সংস্কারের মধ্য দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মালিক জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দেশের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক বড়াইল গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ মমিনুল ইসলাম।
প্রধান বক্তা বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন, বড়াইল বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ শেখ ফরিদ, বড়াইল হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোজ্জামেল হক, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ মজিবুর রহমান, বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আবদুর সাওার,সহিদ মেম্বার,সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ,জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম খান, বড়াইল গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ত্ব মাহবুব মাষ্টার, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দীন আল আজাদ,
নাটঘর বিএনপির নেতা আমিনুল রহমান, কাইতলা উওর বিএনপির সহ সভাপতি রিয়াজ মুন্সী, কৃঞ্চনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফুল মিয়া, বড়াইল বিএনপির সহ সভাপতি ডাঃ সুমন আহম্মেদ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ফারুক মিয়া, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
বড়াইল ইউনিয়নের নেতা/কর্মীরা তাদের বক্তব্যে অত্র ইউনিয়নের কৃতিসন্তান সাইদুল হক সাঈদকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়নের দাবী জানিয়ে বলেন, নবীনগর উত্তরঅঞ্চলের একমাত্র এমপি প্রার্থী হয়েছেন সাঈদ, অবহেলিত এই উত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা আমরা বহুদিন পর আশার আলো দেখতে পাচ্ছি, তাই আমাদের এই তৃনমুল ছাত্রনেতাকে দলমত নির্বিশেষে আমরা তার জন্য কাজ করব, তাকে আমরা আগামীতে এমপি হিসাবে দেখতে চাই।
সাইদুল হক সাঈদ আরো বলেন, নবীনগরের মাটি মানুষের ভালোবাসা আমার আগামীদিনের প্রেরণা জোগাবে।