জ ই বুলবুল : জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে” ৭ নভেম্বর, শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাূদ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী। তিনি বলেন, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। ৭৫ সালে সিপাহী জনতার বিপ্লব যেমন স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বকে সংহত করেছিলো, তেমনি জাতীয় অস্তিত্বকে চেতনায় ধারন করার তাগিদও দিয়েছিলো।আর সেই চেতনাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চিন্তা-চেতনাকে নতুন প্রেক্ষাপটে সংগঠিত ও শানিত করে। তাই ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী গতকাল এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্নেল আব্দুল হক পিএসসি (অবসর প্রাপ্ত) । তিনি বলেন ৭ ই নভেম্বরের চেতনা আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে গেছে। শহীদ জিয়া সে দিন দেশটাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন, দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে ছিলেন,আওয়ামী শকুনরা সব সময়ই দেশটাকে ভারতের সেবাদাসী বানাতে চেয়েছে। তার সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধি মত্ততার কারনে দেশ ও দেশের মানুষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের হাত থেকে বেঁচে যায়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান যেমন দেশবাসীকে স্বপ্নের বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন, তেমনি করে ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা আামাদের একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।এই বাংলাদেশ ফিরে পেতে যারা রক্ত দিয়েছেন, নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন গুম-খুন হয়েছেন সকলের প্রতি রইলো আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আমরা স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতেই পারিনি। দেশের সব মিডিয়া ছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দখলে। আমাদের বহু সাংবাদিক চাকরি হারায়, বেকার হয়ে পড়ে। এখন সময় এসেছে তাদের পুনর্বাসন করার।
জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গীতিকার আলী আশরাফ আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব এস এম মোশাররফ হোসেন মিলন, জাতীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট অভিনেতা আব্দুল আজিজ, দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশের উপদেষ্টা সম্পাদক ও জিসাজের সহ সভাপতি মো: কামাল হেসেন, বাংলাদেশ সিভিল রাইট সোসাইটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মে: জাকির হোসেন, যুক্ত ফোরামের চাষী মামুন, এবং জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রিন্স।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক ও সংগঠক শাহে আহম্মেদ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন তাসজিদ আবরার রাহা। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।