চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শুভ ইচ্ছেপূরণ করতে চট্রগ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। এজন্য তাকে পাড়ি দিতে হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার পথ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শরিফুল ইসলাম শুভ তার বর্তমান অবস্থান নারায়ণগঞ্জ বলে জানিয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্রগ্রাম থেকে রওনা দেন এই শিক্ষার্থী।
শরিফুল ইসলাম শুভ গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ডগরী গ্রামের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের (২০২১-২২) শিক্ষার্থী।
নতুন করে দেশ ভ্রমণের জন্য হাইকিং দিন দিন এ প্রজন্মের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর বিষয় হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল থেকেই যে শত শত কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া যায়। পায়ে হেঁটে ৩০০ কিলোমিটার পথ চলা চ্যালেঞ্জিং এবং শক্ত মনোবল দরকার।
শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, “প্রথমে ৩০০ কি.মি. পায়ে হেঁটে বাসায় যাব এরকম কোন প্ল্যান ছিল না। তবে পরিবেশ বা ফিটনেস রিলেটেড কোন স্লোগানকে সামনে নিয়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পায়ে হেঁটে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু এত বড় একটা ইভেন্টে সফল হব কিনা এ নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ একদিন মাথায় আসল যে চবি থেকে গাজীপুর আমাদের বাড়ি পর্যন্ত ৩০০ কি.মি.। এইরকম ইভেন্ট (হাইকিং) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাজীপুর পায়ে হেঁটে এখন পর্যন্ত কেউ করে নাই। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত নিলাম এই ইভেন্ট আমি করব।”
তিনি আরও বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে হাঁটা শুরু করি এখন আমার অবস্থান নারায়ণগঞ্জে। প্ল্যান বলতে এই হাইকিং এ যদি সফল হই তবে আমার নেক্সট টার্গেট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। আসলে এইভাবে কখনও হেঁটে এত পথ পাড়ি দেওয়া হয় নাই। তবে বাংলাদেশে একেক অঞ্চলের একেক সংস্কৃতি, ভাষা, আচার ব্যবহার খুবই উপভোগ করছি।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ (৩য় বর্ষ) শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, “শুভ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোটভাই। পরিবেশ প্রকৃতি মানুষ ও আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতি টান আছে তার। পথ প্রান্তর ঘুরে কাছ থেকে মানুষ ও তাদের জীবন যাপন দেখা সে উপভোগ করে। তার ৩০০ কিলো. পায়ে হেঁটে গাজীপুর যাত্রা বড় মানসিক শারীরিক সাহসের পরিচয়। এমন পায়ে হেঁটে যাত্রার মাধ্যমে মানুষের ধৈর্য্য সাহস সংযম বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার সুযোগ আছে। শুভ’র এই সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদেরও উদ্ধুদ্ধ করছে।”