মেট্রো নিউজ ।। দারুণ একটি বছর শেষ করল বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বছরে মোট ১৮ ম্যাচ খেলে ১৩টিতে জয় পেয়েছে। তবে পরবর্তী ওয়ানডে খেলার জন্য প্রায় ১১ মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে মাশরাফিদের। আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী বাংলাদেশের পরবর্তী ওয়ানডে ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ওই সময় ইংল্যান্ড আসবে বাংলাদেশে, দুটি টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা তখন।
এরপর ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরেও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা রয়েছে মাশরাফিদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ টি২০ খেলবে বাংলাদেশ। তারপর মার্চে ভারতে গিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ খেলার কথা বাংলাদেশের।
আগস্টে একটি টেস্ট খেলতে ভারতে যাওয়ার সূচিও আছে আইসিসির ক্যালেন্ডারে। অর্থাৎ ওয়ানডে র্যাংকিং বাড়ানোর কোনো সুযোগই আগামী এগারো মাসে পাবে না বাংলাদেশ। অথচ আইসিসি নিয়ম করে দিয়েছে যে, ২০১৯ বিশ্বকাপে র্যাংকিংয়ের সেরা আটটি দল সরাসরি অংশ নেবে এবং ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাংকিংয়ের সেরা আট দলই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। তাই আগামী এগারো মাসে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ বেড়ে যাচ্ছে।
যদিও এ সময় অন্য কোনো বোর্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কোনো সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করতে পারবে বিসিবি। তবে আইসিসির এফটিপি বলছে, আগামী এগারো মাসে বাংলাদেশ ছাড়া র্যাংকিংয়ের ওপরের সবগুলো দলই ব্যস্ত থাকবে।
এপ্রিল-মে-তে অস্ট্রেলিয়ার সময় ফাঁকা থাকছে। কিন্তু তখন আইপিএল চলবে। শ্রীলংকারও তাই। ভারতেরও তাই। নিউজিল্যান্ডের অবশ্য এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ফাঁকা আছে। জুলাই-আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকারও সূচি ফাঁকা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যালেন্ডারও ফাঁকা নেই। তাই আগামী এগারো মাস বাংলাদেশি সমর্থকদের ওয়ানডের জন্য হাপিত্যেশ করেই বসে থাকতে হচ্ছে।