ফর্সা হওয়ার ক্রিম ডেকে আনছে জটিল চর্মরোগ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ফর্সা হতে সবাই চায়। যে কোনও উপায়ে ফর্সা হতে হবে। তাই রকেটের গতিতে বাড়ছে ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজার। ডাক্তারের পরমার্শ ছাড়াই ফেয়ারনেস ক্রিম কেনার হিড়িক। আর তাতেই ঘটে যাচ্ছে মারাত্মক বিপদ। ডেকে আনছে জটিল চর্মরোগ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

মুড়কির মতো বাজারে বিকোচ্ছে দেদার ফেয়ারনেস ক্রিম। সারা দেশে স্টেরয়েড-যুক্ত ফর্সা হওয়ার ক্রিমের ১৪০০ কোটি টাকার বাজার। তথ্য বলছে সাধারণ মানুষের ফর্সা হওয়ার আকাঙ্খায় প্রতি বছর দেশে ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজার ১৬% হারে বাড়ছে। ফর্সা হওয়ার ক্রিমে বিপদ অনেক। সে সব না বুঝেই বিউটি ক্লিনিক, হাতুড়ে ডাক্তার বা ওষুধের দোকানদারের পরামর্শে সাধারণ মানুষ এ সব কিনছেন। যার নিট ফল মারাত্মক চর্মরোগ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু ফেয়ারনেস ক্রিমে থাকে ক্ষতিকর স্টেরয়েড। যা আমার-আপনার ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। ফেয়ারনেস ক্রিমের মাসুল দিয়ে মুখে তৈরি হচ্ছে পোড়া দাগ। কেউ ভুগছেন ত্বকের জটিল অসুখে, কেউ গায়ে রোদ লাগলেই অসহ্য জ্বালায় অস্থির। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফর্সা হওয়ার ক্রিমে হরমোনের গোলমাল হয়ে মেয়েদের আচমকা দাড়ি-গোঁফ গজানোর মতো ঘটনাও বিরল নয়।

পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আলু-পটলের মতো ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রিতে রাশ টানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ,  বিনা প্রেসক্রিপশনে স্টেরয়েড-যুক্ত ফেয়ারনেস ক্রিম আর কেনা যাবে না। স্টেরয়েড-যুক্ত মুখে গায়ে মাখার ক্রিমগুলিকে শিডিউল-H তালিকায় রাখা হয়েছে। শিডিউল-H তালিকায় থাকা ক্রিমের টিউবে-মোড়কে ৫ মিলিমিটার চওড়া লাল দাগ থাকবে। তাতে শিডিউলড ড্রাগ লেখা থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts