বিডি মেট্রোনিউজ || রাজধানীতে গত কয়েক দিন ধরেই আসি-আসি করছিল, অবশেষে এসেই গেলো শীত। শুক্রবার ভোর রাতের এক পশলা বৃষ্টির সাথে-সাথেই রাজধানীতে পুরোদমে শীত নেমে এসেছে। উলের শোয়েটার, মাফলার, কানঢাকা টুপি, চাদর, হাতের ও পায়ের মোজা, কোট-জ্যাকেট পরে তবেই শীত নিবারণ করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এর মধ্যে অনেকেই বাক্স-পোটরা থেকে লেপ কম্বলও বের করে নিয়েছেন।
তবে শ্রমজীবী মানুষের এসবেও রক্ষা পাচ্ছেনা। সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা সূর্যের রোদ। সাথে কনকনে শীত। একটু উষ্ণ তার জন্য অনেককে আগুনের কাছে যেতেও দেখা গেছে।
সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই দেশে শীতের আমেজ আসে। যদিও রাজধানীতে বরাবর শীত একটু দেরিতে আসে। কিন্তু এবার ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসেও শীতের দেখা পাচ্ছিল না নগরবাসী। দু’দিন আগেও বাসাবাড়িতে যন্ত্রের পাখা বা এসির প্রয়োজন ছিল। অনেকে আক্ষেপ করে বলেছিলেন ‘এবার বোধ হয় শীত আসবেইনা।’
অন্যদিকে রাজধানীর সড়কের পাশে দোকানগুলোতে বস্ত্রের পসরা সাজিয়ে রাখা হলেও দোকানদারদের মুখ ছিল গোমরা। শীত আসতে দেরি হওয়ায় তাদের সামগ্রিও বিক্রি হচ্ছিল কম।তবে এ রকম পরিস্থিতি যেন হঠাৎ করে বদলে যায় সব।
আবহাওয়া অধিদফতরের আজকের পূর্বাভাসেও দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয় দিনাজপুর ও নীলফামারী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা রংপুর বিভাগের অবশিষ্ট অংশ ও রাজশাহী, খুলনা এবং ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু অঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে।মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে শীত পড়ার সাথে-সাথে জনজীবনেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ায় বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ বলেন, ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় সবার একটু সাবধাণতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে অসুখ হওয়ার সম্ভবনা থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সময় খাবারের ক্ষেত্রেও সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষ করে ঠান্ডা, বাসী এবং পঁচা খাবার বর্জন করতে হবে। নবজাতক এবং শিশুদের গোসল করানোর সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।