হার পাওয়ার প্রজেক্ট : চরফ্যাশন উপজেলার প্রশিক্ষণার্থীদের কিছু অভিযোগ, তদন্তের আশ্বাস ইউএনওর

হার পাওয়ার প্রকল্পের ৮০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর ৬ জনকে চার হাজার পাঁচশত টাকা করে দেয়া হলেও বাকি ৭৪ জনকে দুই হাজার টাকা, তিন হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থী ইসরাত জাহানকে দুই হাজার টাকা, জান্নাতুল নাইমাকে দুই হাজার টাকা, হালিমা বেগমকে তিন হাজার টাকা, সুলতানা বেগমকে তিন হাজার টাকা ও জাহিদা বেগমকে চার হাজার পাঁচশত টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এ অভিযোগের ঘটনাস্থল চরফ্যাশন উপজেলা।

তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসাবে তাদের
টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষে সারা দেশে ১৩০টি উপজেলার হার পাওয়ার প্রজেক্ট : প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ প্রকল্পের আওতায় চরফ্যাশন উপজেলার ৮০ জন নারীকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী করতে ল্যাপটপ, ব্যাগ, কলম, ও খাতাসহ ১২৯ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে দৈনিক ৩৯ টাকা হারে মোট পাঁচ হাজার একত্রিশ টাকা দেয়ার কথা।

প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার (২৮ জানুযারি) দুপুরে চরফ্যাশন সরকারি কলেজে এক বিতরণী অনুষ্ঠানে ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে নিয়মানুযায়ী টাকা দেয়া হয়নি।

জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথির সভাপতিত্বে উপজেলা সভাকক্ষে এই প্রকল্পের ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ তুলে দিয়েছেন উপজেলা আইটি কর্মকর্তা এস এম আল মাহমুদ। অভিযোগ উঠেছে ল্যাপটপ
বিতরণের আগে প্রশিক্ষণার্থীদের অনেকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন এই কর্মকর্তা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি বিভাগের অধিনে ৪৪টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী করতে এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আইসিটি।

নোমান/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts