বিডি মেট্রোনিউজ || বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হওয়ার পাঁচ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১০ সালের এ দিনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নাম নিয়ে দেশের সীমান্তর রক্ষী এ বাহিনী নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে। এর আগে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ৪০ বছর এ বাহিনীর নাম ছিল বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহসহ বাহিনীর সদর দফতর পিলখানায় ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের পর এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন ও পুনর্গঠনের দাবি ওঠে সর্বত্র। পরে বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তনসহ ব্যাপক সংস্কার আনা হয়। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর নতুন নামে এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহীরা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
বিজিবি দিবসকে সামনে রেখে শনিবার সন্ধ্যায় বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বিজিবি বর্তমানে খুবই গতিশীল একটি বাহিনী। এ বাহিনীর নিজেদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও দেশের প্রতি কমিটমেন্ট রয়েছে। এ কারণে দেশের একটি আস্থার বাহিনী হিসেবে পরিণত হয়েছে বিজিবি। আজকে দেশের যেকোনও প্রয়োজনে সেটা হরতাল-অবরোধ ও আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক বা সীমান্ত বিষয়ে হোক, যেকোনও ইস্যুতেই এ বাহিনী আস্থার সঙ্গে কাজ করছে।
বিজিবি দিবসে সদর দফতর পিলখানাসহ দেশের রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটগুলোয় ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বিজিবি সদর দফতরে সকাল সাড়ে ৭টায় মহাপরিচালকের রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন, ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে পিলখানায় বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন । পিলখানায় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন তিনি।