আরও ২১টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়

বিডি মেট্রোনিউজ || সরকার নতুন আরো ২১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। ৮৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২১টি আবেদন পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য। উদ্যোক্তারা আশা করছেন চলতি অর্থ বছরেই তারা অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুরু থেকেই উচ্চ শিক্ষার নামে উচ্চ বাণিজ্য চলে আসছে। নির্ধারিত হারের পরিবর্তে ইচ্ছামতো বেতন, বিভিন্ন ফি ছাড়াও সার্টিফিকেট বাণিজ্য চলছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ সার্টিফিকেট দেয়ার ঘটনা ধরাও পড়ে। কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা মফস্বলে মানুষের কাছে সহজলভ্য করার উদ্দেশে ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর অনুমতি দেয়া হয়। তারপর থেকে ব্যাঙের ছাতার মতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক-কর্মচারি লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন উপকরণ, কাশ রুম, মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার পরিবেশ রয়েছে কিনা যাচই না করেই এই অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। অপরিহার্য শর্তসমূহ শতকরা পাঁচ শতাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও পূরণ করা হয়নি।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মাত্র সাতটিতে মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কিসের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার অনুমতি দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টদের কাছে তাও প্রশ্ন হয়ে আছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক সুপারিশের সামনে মঞ্জুরি কমিশন অনেক সময়ই নিজেদের অসহায় বোধ করেন।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ-দুই সরকারের সময়েই দলীয় রাজনীতিবিদ, দুই দল সমর্থিত শিক্ষক নেতা, শিক্ষাবিদ, সাবেক কূটনীতিক, আমলা, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, এনজিও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় নেমেছেন। নানা প্রভাব খাটিয়ে অনুমোদন সংগ্রহ করেছেন। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বর্তমানে ১২৫টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা শহরেই রয়েছে ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়। সড়কের পাশে, ভিতরে, রাস্তার উপর অলি-গলিতে এইসব প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে। চলছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো। আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় শহরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ অবস্থার আরো অবনতি ঘটিয়েছে।

বিভিন্ন উদ্যোক্তারা নতুন ১২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এরমধ্যে ৮০টি প্রস্তাব পরীক্ষা নিরিক্ষা ও বিবেচনার জন্য রেখেছে। ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, গাজিপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, যশোর, বরিশালে এগুলোর প্রস্তাবিত স্থান।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts