উৎকণ্ঠার মধ্যেই ২৩৪ পৌরসভার নির্বাচন

বিডি মেট্রোনিউজ || উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার  মধ্যে  বুধবার দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব-আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হলেও সংশয় শঙ্কা প্রবলভাবেই রয়েছে যে, নির্বাচন কি সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণভাবে হবে।

ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন এই আস্থা সৃষ্টি করতে পারেনি যে, তারা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সন্ত্রাস, বিরোধী দলীয় পোলিং এজেন্টদের হুমকি দিয়ে আগের রাতেই বাড়ি, এলাকা ছাড়া করা, সকালে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পর কেন্দ্র আসতে বাধ্য করা এবং এই সময়ে পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাপক হারে জালভোট দেয়ার আশঙ্কা করছেন বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা, দলীয় প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপকহারে ধর পাকড় এবং প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানির বহু ঘটনাও ঘটেছে।

দেড় শতাধিক পৌর এলাকায় সন্ত্রাস, জাল-জালিয়াতি, কারচুপির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে বিএনপি ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের দ্রুত অবহিত করা ছাড়াও ভারত, মার্কিন সমর্থন, সহানুভূতি লাভের সর্বাত্মক প্রয়াস নেবে।

প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দল একে অপরকে ঘায়েল করার কৌশলাশ্রয়ী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। নির্বাচনে ভোটের আগেই সম্ভাব্য পরাজয় ঢাকা দেয়ার এবং জয়ের ক্ষেত্রে প্রস্তুত করেছে দুই দলই। স্থানীয়ভাবে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জনমত প্রভাবিত করা তাদের উদ্দেশ্য।

কালই দেশের ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে প্রচারণার সময় শেষ। সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেক পৌর এলাকায় এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। যেসব পৌরসভার জনসংখ্যা ৫০ হাজারের অধিক সেসব পৌরসভায় বিজিবির এক প্লাটুনের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে। থাকছে ভ্রাম্যমান আদালত, নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশ, আর্মড পুলিশ, আনসার থাকবে প্রয়োজনীয় সংখ্যায়। ১৩শর মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts