বিডি মেট্রোনিউজ || সারা দেশে ‘সুন্দর, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর’ পরিবেশে পৌরসভা নির্বাচন চললেও কয়েকটি স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ‘বাড়াবাড়িতে’ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
এইচ টি ইমাম বলেন, নোয়াখালীর চৌমুহনী, বরগুনার পাথারঘাটা, গাইবান্ধার বেশ কিছু জায়গা, পাবনার চাটমোহরসহ কয়েকটি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও প্রার্থীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ‘বাড়াবাড়ি করছে’।
“বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এসব জায়গায় তাদের কর্মীরা আমাদের প্রার্থীদের বের করে দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারও ব্যর্থতায় নয়, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা কারও কারও বাড়াবাড়ির কারণে হচ্ছে।”
এর আগে নির্বাচন কমিশনে এসে অন্তত ৬০টি কেন্দ্র দখলের যে অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তা ‘কাল্পনিক’ বলেও মন্তব্য করেন এইচ টি ইমাম।
“বিএনপি নেতারা ইসিতে এসে অনেক কাল্পনিক অভিযোগ করেছে। আমরা ভালোভাবে খোঁজ খবর করে বস্তুনিষ্ঠ খবর নিয়ে কমিশনারদের জানিয়েছি।”
পরাজয় ‘নিশ্চিত’ জেনে বিএনপির অনেক প্রার্থী নিজেরাই ‘গায়েব’ হয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান।
“এটা নতুন কিছু নয়, বিএনপি গায়েব হওয়ার গালগল্প বলে যাচ্ছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য শুনেছি অনেক টাকা খরচ করে লাঠিয়াল বাহিনী ভাড়া করে ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নির্বাচনকে বানচাল করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এইচ টি ইমাম জানান, ২৩৪ পৌর এলাকার ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ১৪টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের খবর পেয়েছেন তারা। “শতকরা হিসাবে এটা খুবই কম, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে না।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল ইসিতে আসার পর আ. লীগের প্রতিনিধি দলটি এসে কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। দুই দলের কেউই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সাক্ষাত পায়নি।