বিদায় ২০১৫

বিডি মেট্রোনিউজ || বিদায় ২০১৫। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মুছে শুরু হবে নতুন বছর। অনেক ঘটন-অঘটন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, চড়াই-উৎরাই, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আনন্দ-বেদনার সাক্ষী এই বিদায়ী বছর। নানা ঘটনা প্রবাহে আলোচিত ইংরেজি ২০১৫ সাল। সেইন্ট গ্রেগরি প্রবর্তিত ক্যালেন্ডারের হিসাবে এখন সামনে সমাগত ২০১৬।

সময় এক প্রবহমান মহাসমুদ্র। কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়া, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। তাই তো জীবন এত গতিময়। যে প্রত্যাশার বিশালতা নিয়ে ২০১৫-এর প্রথম দিনটিকে বরণ করা হয়েছিল, সেই প্রত্যাশার সব কি পূরণ হয়েছে? এ হিসাব না হয় নাইবা করলাম।

বিদায়ী বছর প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির দোলাচলে নিয়েছে অনেক কিছু। তারপরও নতুন বছরের নতুন সূর্যালোকিত দিনের প্রতি অসীম প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশা মানুষের মনে। নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন। চোখের সামনে এসে দাঁড়ায় ধূসর হয়ে আসা গল্পগাঁথার সারি সারি চিত্রপট। কখনো বুকের ভেতর উঁকি দেয় একান্তই দুঃখ-যাতনা। কখনো পাওয়ার আনন্দে নেচে উঠে হৃদয়। এ বছরটি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে আমাদের জীবনে, এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।

sunset-0
আলোকচিত্র : সোয়েব মেসবহউদিদন

‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতই দুঃখ, কষ্ট সব কিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা পেতে চাই। নতুন বছরটি যেন সমাজ জীবন থেকে, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে আমাদের প্রিয় স্বদেশ যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা ২০১৫ সালকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বড় প্রাপ্তি ও আনন্দের বছর বলে অভিহিত করেছেন। এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ২০১৫ সালকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বড় প্রাপ্তির বছর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি কার্যকর হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এনে দিয়েছে।’

বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘এই দুই যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করার মধ্যে দিয়ে জাতির দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। এটাই এখন গভীর আনন্দ।’

 

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts