বিডি মেট্রোনিউজ || ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন দায়িত্বরত কর্মী জানান, ভূমিকম্পের পর সকাল থেকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রয়েছেন এক পুলিশও। এদের মধ্যে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক শিক্ষার্থী পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। এছাড়া মহসিন ও কবি জসিম উদ্দীন হলের দোতলা থেকেও পাঁচজনের লাফিয়ে পড়ে আহত হওয়ার খবর দিয়েছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
মেডিকেল ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল বলেন, “কেউ দোতলা থেকে, কেউ তিনতলা থেকে লাফিয়ে, কেউবা সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নামার চেষ্টার সময় আহত হয়েছেন।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী ১৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল ও মেডিকেল টিম। আর বাকি চারজনকে বন্ধু সহপাঠীরা হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ আবদুল বাতেন বলেন, “চিকিৎসা নিতে যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে তিনজন ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থা গুরুতর।” এরা হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের কনস্টেবল মো. সোহান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত ও ইকবাল। বাতেন জানান, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে দুইতলা থেকে লাফিয়ে পড়ায় কনস্টেবল সোহানের দুই পা ভেঙে গেছে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত বুকে ব্যাথা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু সুমন। ইয়াসিন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। শহিদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইকবালের অবস্থা গুরুতর বললেও তিনি কোথায় আঘাত পেয়েছেন তা জানাতে পারেননি ঢাকা মেডিকেলের কর্মী বাতেন।
আতঙ্কে হুড়োহুড়িতে আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন ৩২ জন।তাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেবাশিষ সিনহা। ভূমিকম্পের পর সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে শুরু করেন স্থানীয়রা।