কাজী আরেফ হত্যায় তিন ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর

বিডি মেট্রোনিউজ, যশোর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদসহ ৫ নেতা হত্যা মামলায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামীর ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই দফায় কার্যকর হয়েছে।
রাত ১১টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২ জনের। এরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র সাফায়েত হোসেন ওরফে হাবিব ওরফে হবি এবং এবং একই থানার কুরশা গ্রামের উম্মত ডাকাত ওরফে উম্মত মন্ডলের পুত্র আনোয়ার হোসেন। অপর জন কুরশা গ্রামেরই মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. রাসেদুল ইসলাম ঝন্টু ওরফে আকবরের ফাঁসি হয় রাত পৌনে ১২টায়।
এদিকে তিন ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে যশোর শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। শহর জুড়ে পুলিশের ১২-১৪টি টিম নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। কেন্দ্রীয় কারাগারের চারপাশ ঘিরে রাখে পুলিশ সদস্যরা।
রাত ১০টা থেকে শহরের হাসপাতাল মোড়, কাঠের পুল সড়ক এবং খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলখানামুখি সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় আশপাশের সংযোগ সড়কও।
সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় চরমপন্থীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও সমশের মণ্ডল।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ফাঁসির চূড়ান্ত সাজা কার্যকর হলো।
প্রতিক্রিয়া : কাজী আরেফ আহমেদের সহধর্মিনী ঢাকায় অবস্থানকারী বাংলাদেশ মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি রওশন জাহান সাথী বলেন,  আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, এত বড় হত্যা দেশ, সমাজ ও রাজনীতিতে অনেক বড় ক্ষত সৃষ্টি করেছে। একজন বড় সংগঠক, সৎ রাজনীতিবিদের এমন নৃশংস হত্যা রাজনীতিকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড না ঘটলে মুক্তিযুদ্ধের আকাংক্ষা পূরণে আমরা আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতাম।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts