বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বরগুনার আমতলীতে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী মালা আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন পলাশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ূন কবিরের আদালতে পলাশ এ স্বীকারোক্তি দেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আইনজীবী মাইনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে এ ঘটনায় আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দুই জনসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন। পুলিশ মাইনুল আহসানকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। আদালতের বিচারক রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের মোঃ মান্নান হাওলাদারের কন্যা মালা আক্তারের সাথে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের আবদুল লতিফ খানের ছেলে আলমগীর হোসেন পলাশ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মালা সম্পর্কে আলমগীর হোসেন পলাশের মামাতো শ্যালিকা। সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া অবস্থায় পলাশের সাথে মালার সম্পর্ক হয়। মালা কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
গত রবিবার সন্ধ্যায় আলমগীর হোসেন পলাশ প্রেমিকা মালাকে নিয়ে আমতলী তার (পলাশ) আত্মীয় অ্যাডভোকেট মাইনুল আহসান বিপ্লবের বাসায় বেড়াতে আসে। তিন দিন ধরে পলাশ এ বাড়িতে অবস্থান করে। মঙ্গলবার মালা পলাশকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু পলাশ এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুরে পলাশ মালা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র (বটি) দিয়ে কুপিয়ে মাথা, দু’হাত, দু’পা, গলার নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত দু’টুকরো মোট সাত টুকরো করে হত্যা করে। এ সময় ওই বাসায় কেউ ছিল না। ঘাতক পলাশ লাশ সাত টুকরো করে ওই বাসার বাথরুমের মধ্যে দুটি ড্রামে ভরে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাসার মালিক আইনজীবী মাইনুল আহসান বিপ্লবকে ওইদিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে সন্ধ্যায় ঘাতক পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে ঘাতক আলমগীর হোসেন পলাশ ও আইনজীবী মাইনুল আহসান বিপ্লবের নাম উল্লেখ করে চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
নিহত মালার মামা হাবিব খান বলেন, ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ গুদিঘাটা গ্রামের নানার বাড়িতে দাফন করা হবে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন, আসামি আলমগীর হোসেন পলাশ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।