খান মাইনউদ্দিন,বরিশাল : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারে সনদ ও ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন কথিত ভুয়া ডাক্তার মুরাদ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে অসহায় লোকদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
নিন্মমানের হারবাল ও আয়ুর্বেদিক কোম্পানীর বিভিন্ন রকমের ওষুধ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। প্রশাসন দেখেও নিশ্চুপ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানা গেছে, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা) ও ডি.সি.এইচ.সি (ইন্ডিয়া) সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ড্রাগ লাইসেন্স ও সিভিল সার্জনের অনুমতি ছাড়াই বোয়ালিয়া বাজারে সালেহা হোমিও হল নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে গরু মোটা তাজাকরণ এবং যৌন উত্তেজক ট্যাবেলেট ও সিরাপ দিয়ে রোগীদের থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অনেকেই না জেনে-বুঝে মুরাদের দেয়া ওষুধ সেবন করে প্রতারিত হচ্ছেন।
মুরাদ হোসেন নামের পূর্বে ডা. ব্যবহার করে এলাকায় দাপটের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এলাকার কিছু দালাল চক্রকে ম্যানেজ করে চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগী জানান, যৌন দুর্বলতার জন্য তিনি সালেহা হোমিও হল থেকে ওষুধ নেন। মোটা অর্থ দিয়েও তিনি প্রতারিত হন । এ বিষয়ে টাকা ফেরত চাইলে মুরাদ স্থানীয় মাস্তান দিয়ে তাকে ধমকায়। মান সম্মানের ভয়ে আমি চুপ হয়ে যাই।
ভরপাশা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, মুরাদ হোমিও মেডিসিন সার্জারির বিশেষজ্ঞ দাবি করে পাইলস চিকিৎসার নামে আমাকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দিয়েছে। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা মুরাদের প্রতারণা থেকে বাঁচতে ওষুধ প্রশাসন বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এরআগে মুরাদ হোসেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার থানার পোল এলাকায় একটি চেম্বার খুলে বসেন। চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে মুরাদের ওই চেম্বারে একাধিকবার অভিযান চালায় র্যাব। সর্বশেষ অভিযানে চেম্বারটি সিলগালা করে দেয় তারা। এরপর এলাকাবাসীর তোপের মুখে নলছিটি ছেড়ে পালিয়ে বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়ায় চেম্বার খুলে বসেন মুরাদ।