বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, মিজানুর রহমানের অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নাখালপাড়া হোসেন আলী স্কুলে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যদি তিনি কোনো গর্হিত কাজ করেন, প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো কাজ করেন তো সেই অনুযায়ী তাঁর ব্যবস্থা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইনকোয়ারি টিম গঠিত হওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে তার ব্যবস্থা হবে।’
যত বড় কর্মকর্তাই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ আনা ওই তরুণী একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তাঁর বাসা। সেখান থেকে কৌশলে গত বছরের জুলাই মাসে তাঁকে তুলে নিয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে মিজানের বেইলি রোডের বাসায় নিয়ে তিনদিন তাকে আটকে রাখা হয়।
এরপর জুলাইয়ের ১০ তারিখ বগুড়া থেকে ওই তরুণীর মাকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিনে মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন আগেই বিবাহিত মিজান।
ওই তরুণী আরো জানান, বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও একদিন ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি আপলোড করার পর ক্ষেপে যান পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বাড়ি ভাঙচুরের একটি ‘মিথ্যা মামলা’য় গত ১২ ডিসেম্বর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয় বলেও জানান তিনি।
একসময় দুই মামলাতেই জামিনে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।