বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে ভোলার তরুণী ধর্ষিত

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নিজের চেম্বারে নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত চর্ম ও যৌন বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা পাশবিক নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে সোমবার শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর- ২১।

মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই রিপন কুমার বিশ্বাস। তিনি জানান, অভিযুক্ত ডা. রিয়াদ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর দ্বাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী মো: রিয়াদ সিদ্দিকীর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে ওই ডাক্তার তাকে বিবস্ত্র করে স্পর্শকাতর জায়গাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মলম লাগায়। এ সময় ছাত্রী বাধা দিলে ডাক্তার তাকে বাধা দেওয়ার জন্য তাকে শাসায় এবং কাউকে না জানানোর কথা। মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টা কাউকে জানায়নি। পরবর্তী তারিখে চিকিৎসা নিতে গেলে ওই ডাক্তার প্রথমে তাকে বিবস্ত্র করে মলম লাগায়। এরপর ধর্ষণ করে। সেই দৃশ্য ভিডিও করে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওই চিকিৎসক তখন মেয়েটিকে হুমকি দেয়, ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। এতে ভয় পেয়ে মেয়েটি কাউকেই বিষয়টি জানায়নি।

পরবর্তী মেয়ের মরণব্যাধী রোগ হয়েছে জানিয়ে চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হবে বলে পরিবারকে জানান ডা. রিয়াদ সিদ্দিকী। এরপর মেয়েকে নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন। তখন পরিবারের লোকজনদের অপেক্ষা করতে বলে ওই ডাক্তার মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের চতুর্থ তলার নিজ চেম্বারে নিয়ে ধর্ষণ করতে গেলে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি ও চিৎকার করে। এ সময় ওই ডাক্তার তাকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং আবারও তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

শাহবাগ থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার শিকার তরুণীর বাড়ি ভোলায়। সেখানে ডা. রিয়াদ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। চিকিৎসার জন্য ওই তরুণী তার চেম্বারে গেলে বিভিন্ন সময়ে  ডা. রিয়াদ তাকে ধর্ষণ করেন। গত সপ্তাহে ওই তরুণী চিকিৎসা করাতে ঢাকায় আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান। ডা. রিয়াদ সেখানকার চার তলায় নিজের চেম্বারে নিয়ে ওই তরুণীকে ফের ধর্ষণ করেন। গত ৪ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয় তরুণীকে। গত ৮ জানুয়ারি তার চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে তার পরিবার।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts