ডিআইজি মিজানের সঙ্গে মরিয়ম আক্তার ইকোর সমঝোতা!

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে প্রত্যাহার হলেও এখনো আলোচনার কেন্দ্রে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন স্তরে ডিআইজি মিজানের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে।

ঘরে স্ত্রী রেখে মরিয়ম আক্তার ইকো নামে এক তরুণীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ গণমাধ্যমে এলে আলোচনায় চলে আসেন মিজান। তবে ইতোমধ্যে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ইকো সমঝোতা করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কীসের বিনিময়ে সমঝোতা হলো এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মরিয়ম আক্তার ইকো এখনো ডিআইজির ভাড়া বাসাতেই রয়েছেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ইকোকে সমঝোতার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ডিআইজি মিজান। অবশেষে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলেও লিখিত দিয়েছে ইকো।

https://www.youtube.com/watch?v=0r52EBn4ncU

অভিযোগ রয়েছে, একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ডিআইজি মিজানের। তাদের মধ্যে একজনকে নিয়ে তিনি বিদেশ ভ্রমণও করেন। একবার কোনো নারীর ওপর চোখ পড়লে তাকে বাগে আনতে ডিআইজি মিজান সব ধরনের চেষ্টা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কথা না শুনলেই সংশ্লিষ্ট নারীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হতো। পুলিশের একাধিক সুন্দরী নারী পুলিশ সদস্য ডিআইজি মিজানের নিগ্রহের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তার কথামতো চললে পদোন্নতির পাশাপাশি ভালো পোস্টিং মিলত সংশ্লিষ্টদের।

কোনো নারীকে পছন্দ হলে ডিআইজি মিজান প্রথমে তার ফোন নম্বর সংগ্রহ করতেন। পরে তার সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করতেন। আর কথা না শুনলেই পুলিশ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট নারীকে হয়রানি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ রকম অনেক গল্প রয়েছে সিলেট ও ঢাকায়। যেখানে ডিআইজি মিজান দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ডিআইজি মিজান ইতোমধ্যে সাংবাদিক নেসারুল হক খোকনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। গতকাল বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে অবহিত করেন তিনি। অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন নেসারুল হক খোকনকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সূত্র : আমাদেরসময়

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts